নতুন হিসেবে আনা যাবে না বঙ্গবন্ধুর আমলের আইন

প্রকাশিত: ৬:৩৩ অপরাহ্ণ, আগস্ট ২৪, ২০২০

১৯৭২ থেকে ১৯৭৫ সালের আগস্ট পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাসনামলে করা আইনের পরিবর্তনের ক্ষেত্রে তা সংশোধনী হিসেবে আনতে হবে, তবে নতুন হিসেবে আনা যাবে না। মন্ত্রিসভা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।

সোমবার (২৪ আগস্ট) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠক (ভার্চুয়াল) হয়। গণভবন প্রান্ত থেকে প্রধানমন্ত্রী এবং সচিবালয়ের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে মন্ত্রীরা এই বৈঠকে যোগ দেন।

বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ‘দ্য বাংলাদেশ হাউজ বিল্ডিং ফাইন্যান্স করপোরেশন অর্ডার, ১৯৭৩’ সংশোধন নিয়ে আলোচনার সময় একটি মৌলিক পরিবর্তন এনেছে মন্ত্রিসভা। আজকে মন্ত্রিসভা সিদ্ধান্ত দিয়েছে ২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে হাইকোর্ট থেকে যে অবজারবেশন দেয় তা হলো যে, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট থেকে ১৯৭৯ সাল এবং ১৯৮২ থেকে ১৯৮৬ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পার্লামেন্ট না থাকার সময় যে অর্ডিন্যান্সগুলো হলো এর যেগুলো প্রয়োজন সেগুলো আইনে পরিবর্তন করা হবে, আর না হলে বাতিল হয়ে যাবে।’

‘এটা (হাউজ বিল্ডিং অর্ডার) যখন আনা হলো তখন দেখা গেল, এটা তো ওই কাভারেজের মধ্যে না। ওই এমবার্গোর মধ্যেও পড়ে না। এটা আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে একটা গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত আসছে। সেটা হলো- ১৯৭২ সাল থেকে শুরু করে ১৯৭৫ সালের আগস্ট পর্যন্ত যে আইনগুলো এখন থেকে পরিবর্তন হবে, সেগুলোও নতুন আইন হবে না। সেটা ওই আইনের সংশোধন হবে।’

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘দ্য বাংলাদেশ হাউজ বিল্ডিং ফাইন্যান্স করপোরেশন (সংশোধন) অ্যাক্ট, ২০২০’ নিয়ে আসা হয়েছিল, নতুন সিদ্ধান্তের কারণে এখন আর এই নাম থাকবে না, হবে ‘দ্য বাংলাদেশ হাউজ বিল্ডিং ফাইন্যান্স করপোরেশন অর্ডার, ১৯৭৩’।

এই সিদ্ধান্তের কারণ তুলে ধরে খন্দকার আনোয়ার বলেন, ‘স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে যে সরকার ছিল এবং তখন রাষ্ট্র ব্যবস্থাপনাটা কেমন ছিল- এই আইনগুলো যদি হারিয়ে যায় তাহলে আর পুরোপুরি বুঝা যাবে না। এই আইনগুলো যদি কার্যকর থাকে তাহলে যারা গবেষণা করবে কিংবা রাষ্ট্রবিজ্ঞান বা রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনা নিয়ে যারা কাজ করবে তারা কিন্তু এই আইনগুলো দেখলেই বুঝতে পারবে রাষ্ট্রের কাঠামোটা তখন কীভাবে ডেভেলপ করা হয়েছিল, কীভাবে রাষ্ট্র ও প্রশাসন পরিচালনা করা হয়েছে। এটা ক্যাবিনেটের একটা যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত। এই আইন সংশোধন করতে গিয়ে এটা আলোচনার একটা বড় জিনিস।’