‘শ্রীলংকা ফেরত ১১ শ্রমিকের জড়িত থাকার তথ্য মেলেনি’

প্রকাশিত: ৬:২০ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ২৭, ২০১৯

তিনটি গির্জা ও চারটি অভিজাত হোটেলে আত্মঘাতী বোমা হামলার পর শ্রীলংকা থেকে ফেরত পাঠানো ১১ জন শ্রমিকের বাংলাদেশে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার কোনো তথ্য এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।

মনিরুল ইসলাম বলেন, হেফাজতে নেওয়ার পর তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তাছাড়া বিভিন্নভাবে তাদের সম্পর্কে খোঁজ নেওয়া হয়। তারা টুরিস্ট ভিসা নিয়ে সেখানকার একটি কারখানায় চাকরি নেয়। কিন্তু তারা বাংলাদেশে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত আছে বা ছিল কিনা, এমন কোনো তথ্য এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।

মনিরুল বলেন, যে ১১ জন তাদের হেফাজতে আছে তাদের ব্যাপারে অপরাধসংশ্লিষ্ট কোনো তথ্য পাওয়া না গেলে আইনগতভাবে তাদের আটকে রাখার কোনো সুযোগ নেই।

তিনি জানান, ১১ জন তাদের বলেছেন, যে কারখানায় তারা শ্রমিকের মতো ছিলেন, মালিকের সঙ্গে তাদের কোনো যোগাযোগ ছিল না। বোমা হামলার বিষয়েও কোনো তথ্য তাদের কাছে নেই।

মনিরুল বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মতো বাংলাদেশও ঝুঁকিতে রয়েছে। তবে হামলার কোনো আশঙ্কা নেই, হুমকি দিয়েছে এমন তথ্যও নেই।

বাংলাদেশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ধারাবাহিক অভিযানে জঙ্গিদের মনোবল ‘ভেঙে দেওয়া হয়েছে’ বলে দাবি করেন তিনি।

শ্রীলংকার কলসাস মেটাল ফ্যাক্টরি নামে যে প্রতিষ্ঠানে এই ১১ শ্রমিক কাজ করতেন, সেই প্রতিষ্ঠানের মালিক ইনসাফ ইব্রাহীম বোমা হামলার অন্যতম হোতা বলে সেখানকার পুলিশ জানতে পেরেছে।

ইনসাফ বোমা হামলায় নিজে আত্মঘাতী হন। তার এই প্রতিষ্ঠানটি সে দেশের সরকার বন্ধ করে দিয়েছে। পরে সেখানকার শ্রমিকদের স্ব-স্ব দেশে ফেরত পাঠিয়েছে।