শ্রমিকদের দাবির মুখে ছুটি বাড়াচ্ছেন গার্মেন্টস মালিকরা

প্রকাশিত: ৩:২৩ পূর্বাহ্ণ, মে ১১, ২০২১
ফাইল ছবি

করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে পোশাকশ্রমিকদের তিনদিনের দেয়া হলেও তা মানতে নারাজ শ্রমিকরা। ছুটি বাড়ানোর দাবিতে শনিবার (৮ মে) মিরপুরের বেশ কয়েকটি পোশাক কারখানার শ্রমিকরা আন্দোলনে নামেন। তাদের ওই আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে বিভিন্ন এলাকায়।

শ্রমিকদের আন্দোলনের মুখে বাধ্য হয়ে কারখানা কর্তৃপক্ষ ৫-১০ দিন পর্যন্ত ছুটির ঘোষণা দিচ্ছে। যদিও অনেক কারখানায় কাজ না থাকায় আগেই ঈদের ছুটি দিয়ে কারখানা বন্ধ ঘোষণা করা হয়।

করোনার সংক্রমণ রোধে ঈদে তিনদিনের ছুটি ও কর্মস্থলে অবস্থান করার নির্দেশনা ছিল সরকারের। সেই আলোকে পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ সদস্যভুক্ত কারখানা মালিকদের নির্দেশনা মেনে ছুটি দেয়ার কথা ছিল।

তবে তিনদিনের পরিবর্তে ৭-১০ দিনের ছুটির দাবি জানিয়ে আসছেন শ্রমিকরা। তাদের আন্দোলন শুরু হয় গত শনিবার থেকে। এরপর আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে টঙ্গী, মিরপুর কালশিসহ কয়েকটি এলাকায়। সোমবার (১০ মে) হা-মীম গ্রুপের কারখানায় এ নিয়ে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটে। এরপর থেকে অধিকাংশ কারখানা বাড়তি ছুটি দিতে বাধ্য হচ্ছেন।

বিকেএমইএ-এর একজন পরিচালক বলেন, ‘আন্দোলনের আগেই আমরা যে যার মতো করে পাঁচ থেকে ৭ দিন করে ছুটি দিয়েছি। তবে ছুটি দিলেও শ্রমিকদের ঢাকায় অবস্থানের নির্দেশনা দিয়েছি আমরা।’

বিজিএমইএ-এর সিনিয়র সহ-সভাপতি এস এম মান্নান কচি বলেন, ‘আমাদের ছুটি দিতে কোনো আপত্তি নেই। ছুটি আসবে, ছুটি যাবে। তবে সবার আগে জীবন, দেশ আগে। এখন পরিস্থিতি ভালো না। এ অবস্থায় প্রধানমন্ত্রী তিনদিনের ছুটি নির্ধারণ করেছে, এতে শ্রমিকদের আপত্তি থাকার কথা নয়।’

এর আগে রোববার (৯ মে) রাজধানীর শ্রমভবনে আয়োজিত আরএমজি বিষয়ক ত্রিপাক্ষীয় পরামর্শ পরিষদ (টিসিসি) সভায় শ্রম প্রতিমন্ত্রী মুন্নুজান সুফিয়ান বলেন, কারখানায় সরকারের তিনদিন ছুটি ঘোষণা ব্যত্যয়ের সুযোগ নেই। শ্রমিকদের নির্ধারিত ছুটির বাইরে ওভারটাইম করাবেন নাকি পরে ছুটি দেবেন, তা মালিক ও শ্রমিক পক্ষ নির্ধারণ করবেন।

সভায় প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, সরকার তিনদিন ছুটি নির্ধারণ করেছে। এ বাইরে অনেক গার্মেন্টেসে ৫-৭ দিন পর্যন্ত ছুটি দিয়েছে। ছুটি যাইহোক, কর্মস্থলে অবস্থান করতে হবে। সরকার নির্ধারিত তিনদিনের বেশি যদি কোনো কারখানায় ছুটি দেয়া হয়, তবে তাকে অবশ্যই কর্মস্থলেই থাকতে হবে। কোনোভাবেই নিজ নিজ কর্মস্থল ত্যাগ করা যাবে না।