বাসা ভাড়া সংকটে উত্তরা ছাড়ছেন অনেকেই

পারভেজ দেওয়ান পারভেজ দেওয়ান

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ৬:২১ পূর্বাহ্ণ, জুলাই ৩, ২০২০

করোনায় লণ্ডভণ্ড পুরো বিশ্ব। চীন, ইতালি, যুক্তরাষ্ট্র, ব্রাজিল এর পর এবার করোনা বাংলাদেশও করোনা তার আসল রুপ দেখাতে শুরু করেছে। প্রতিদিন হু হু বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। লাশের সারিতে যোগ হচ্ছে নতুন নতুন লাশ।

করোনার সংক্রমণ রোধ করার জন্য সরকার গত দুইমাস সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে।যার ফলে করোনা সংক্রমণের হার কিছুটা কমলেও, দেশ বড় অর্থনৈতিক ধাক্কা খায়।যার ফলে সরকার বাধ্য হয়ে সাধারণ বাতিল করে।

গত দুই মাসের করোনার প্রভাব সাধারণ মানুষের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলা শুরু করেছে।করোনার প্রভাবে অনেকেই চাকরি হারিয়েছেন।আবার অনেকের মধ্যেই চাকরি হারানোর শঙ্কায় রয়েছেন। অন্যদিকে বিভিন্ন গার্মেন্টস এর অর্ডার বাতিল হওয়ায় তারাও হাটছে কর্মী ছাটাই এর দিকে।ইতিমধ্যে অনেক গার্মেন্টস প্রতিষ্ঠান তাদের কর্মী ছাটাই কার্যক্রম শুরু করে দিয়েছে।যার প্রভাব পড়তে শুরু সাধারণ কর্মীদের উপর। রাজধানী ঢাকার বেশির ভাগ মানুষ ভাড়া বাড়িতে থাকেন।এরপর কর্ম হারানো মানুষ পড়েছে বেশি বিপাকে। তাদের মধ্যে অনেকেই বাসা ভাড়ার কথা চিন্তা করে ঢাকা ছাড়ার কথা ভাবছে। কর্ম হারানোরদের মধ্যে মোঃফরিদ একজন। তার সাথে কথা বলে জানা যায় সে ঢাকার উত্তরার ফুলবাড়িয়া এলাকায় পরিবার নিয়ে বসবাস করে।তিনি বলেন “১৫ বছর ধরে ফ্যামিলি নিয়ে ঢাকায় বসবাস করি।গত ১৫ বছরের মধ্যে এমন কঠিন সময় কখনো পার করিনি। গার্মেন্টসে কাজ ভালোই চলছিল আমার পরিবার।কিন্তু গত ২ মাসে আর সেই অবস্থা নাই।গার্মেন্টস থেকে ফুল বেতন পাইনি আর এর মধ্যে চাকরি হারালাম। এমতাবস্থায় ঢাকায় থাকা আমার দায় হয়ে দাড়িয়েছে। আর এখন নতুন করে কোথাও চাকরি নিতেও পাচ্ছি। তাই বাধ্য হয়ে ফ্যামিলি নিয়ে গ্রামের বাড়ি চলে যাচ্ছি।

উত্তরার আব্দুল্লাহপুর এলাকার দিনমজুর মোঃরবিন এর সাথে কথা হলে তিনি জানায়, “করোনার কারনে আমাগো কাজ কাম বন্ধ।কাজ কাম বন্ধ হইলে ইনকাম নাই, ইনকাম না হইলে বউ বাচ্চা নিয়া খামু কি?না খাইয়া থাকা যায় কিন্তু বাড়ি ভাড়া না দিলে তো ঢাকায় থাকনের জায়গা নাই।তাই বাধ্য হইয়া গ্রামে চইল্লা যাইতাছি। ফরিদ,রবিনের মতো অনেকেই আছেন যারা করোনার প্রভাবে চাকরি বা কর্ম হরিয়েছেন।যার ফলে তারা বাসা ভাড়ার কথা চিন্তা করে শহর ছাড়ছেন।