৩৫ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, নেইমার ও অভিযোগকারী নারী একটি হোটেল কক্ষে প্রবেশ করেন। পরে এক পর্যায়ে ওই নারী নেইমারকে আঘাত করা শুরু করেন। এ সময় তাকে আঘাত করতে নিষেধ করেন নেইমার। তারপর ওই নারী বলেন, আমাকে আঘাত করতে যাচ্ছো তুমি। তাহলে আমি কী করবো? আমিও তোমাকে আঘাত করবো। নেইমারকে মারতে মারতে নারী আরও বলেন, তুমি জানো আমি কেন তোমাকে আঘাত করছি ? কারণ তুমি আমাকে হয়রানি করেছো। এখানে আমাকে একা ফেলে চলে গেছো।

এদিকে, ২৬ বছর বসয়ী ওই নারীর সঙ্গে নেইমারের পরিচয় হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইন্সট্রাগ্রামে। পরে নেইমার ওই নারীকে প্যারিসে তার সাথে দেখা করার প্রস্তাব দেন। পরে তিনি ওই নারীকে ব্রাজিল থেকে প্যারিসে আসার জন্য একটি বিমান টিকেট পাঠান এবং প্যারিসের ওই হোটেলে তার জন্য রুম রিজার্ভেশন নিশ্চিত করেন। গত ১৫ মে রাতে ফ্রান্সের প্যারিসের একটি হোটেলে ঘটনাটি ঘটে।

তবে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হওয়ায় তখন সেখানে কোনো অভিযোগ করেননি তিনি। দেশে ফিরে শুক্রবার (৩১ মে) ব্রাজিলের সাও পাওলোতে তিনি পুলিশের দ্বারস্থ হন। পরে এক ভিডিও বার্তায় নেইমার সব অস্বীকার করেন।
নেইমার জানান, ফাঁদে ফেলার জন্যই এই অভিযোগ করা হয়েছে। আর তার প্রমাণ হিসেবে ওই নারীর কিছু ছবি ব্যবহার করে একটি ভিডিও শেয়ার করেন নেইমার। ওই ভিডিওতে অভিযোগকারী নারীর ব্যক্তিগত মুহূর্তের অনেক ছবি ব্যবহার করা হয়। পরে নেইমারের বিরুদ্ধে করা অভিযোগের প্রমাণ দিতে মেয়েটির এই ভিডিওটি প্রকাশ।