নওগাঁয় একই বিষয়ে দুইবার পরীক্ষা!

প্রকাশিত: ৭:২৭ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ৩, ২০১৯
নওগাঁ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় পরীক্ষা কেন্দ্রে বাংলা প্রথম পত্রের পরীক্ষা

নওগাঁ প্রতিনিধি : প্রশ্নপত্র ভুলে একই বিষয়ে চলতি মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষায় নওগাঁয় ছয় শিক্ষার্থীকে দুইবার পরীক্ষা দিতে হয়েছে।

ঘটনায় কক্ষে দায়িত্বরত শারীরিক শিক্ষা বিষয় শিক্ষক জিয়াউর রহমানকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে।

শনিবার নওগাঁ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় পরীক্ষা কেন্দ্রে বাংলা প্রথম পত্রের পরীক্ষায় এ ঘটনা ঘটে।

পরীক্ষা কেন্দ্র ও শিক্ষার্থী সূত্রে জানা গেছে, নওগাঁ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৯৯৬ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়। সকাল ১০টা থেকে বাংলা প্রথমপত্রের পরীক্ষা শুরু হয়। ওই কেন্দ্রে ২১০ নম্বর কক্ষে ‘নওগাঁ কেডি উচ্চ বিদ্যালয়’ ও শহরের ‘আরজি-নওগাঁ উচ্চ বিদ্যালয়’ এর ৩০ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দিয়েছে। প্রথমে পরীক্ষার্থীরা আধাঘণ্টা সময়ে বহুনির্বাচনী পরীক্ষা দেয়। এরপর সৃজনশীল পরীক্ষার প্রশ্নপত্র সরবরাহ করা হয়, যা ২০১৮ সালের প্রশ্নপত্র

পরীক্ষার্থীরা প্রশ্নপত্র পাওয়ার পর কক্ষে দায়িত্বে থাকা শিক্ষক জিয়াউর রহমানকে বিষয়টি জানানো হয়। কিন্তু ওই শিক্ষক কোনো গুরুত্ব দেননি। এতে ২০১৮ সালের প্রশ্নপত্রেই নওগাঁ কেডি উচ্চ বিদ্যালয়ের তিন ছাত্র নাফি, মুনতাসির ও মুদ্ধ এবং আরজি-নওগাঁ উচ্চ বিদ্যালয়ের তিন ছাত্রী নিশাদ তাবাসুম, সুমাইয়া ও মুফতি সহ ছয়জন পরীক্ষা দেয়।

পরে পরীক্ষা শেষ হতে প্রায় ২৫ মিনিট বাঁকি থাকতে কেন্দ্রে দায়িত্বরত ট্যাগ অফিসার উপজেলা তথ্য সেবা কর্মকর্তা তানিয়া খন্দকার ওই কক্ষে পরিদর্শনে যান। এসময় পরীক্ষার্থীরা বিষয়টি অবগত করে।

এরপর তিনি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বিষয়টি আলোচনা করে তাদের ২০১৯ সালের বাংলা প্রথম পত্রের সৃজনশীল প্রশ্নপত্র দিয়ে আবার পরীক্ষা নেয়ার ব্যবস্থা করেন। পরে পরীক্ষার্থীরা বিকাল ৩টা ১০ মিনিট পর্যন্ত একই বিষয়ে দুইবার পরীক্ষা দেয়।

বিড়ম্বনার শিকার পরীক্ষার্থী মুনতাসির, মুদ্ধ ও নিশাদ তাবাসুম জানায়, প্রশ্নপত্র পাওয়ার পর প্রশ্নপত্রের রংটাও কিছুটা আলাদা ছিল। তাৎক্ষনিকভাবে কক্ষের দায়িত্বরত স্যারকে জানানো হলেও কোনো ব্যবস্থা নেননি। সিলেবাসের বাহিরেও তিনটি প্রশ্ন ছিল। সৃজনশীল পাঁচটা প্রশ্ন লেখা শেষ হওয়ার পর এক ম্যাডাম কক্ষে আসলে আমরা বিষয়টি জানালে তিনি পরীক্ষা নেয়ার ব্যবস্থা করেন। প্রায় ছয় ঘণ্টা ধরে লাগাতার পরীক্ষা দেয়ায় আমরা পরীক্ষা খুব একটা ভালো দিতে পারিনি।

সদর উপজেলা তথ্য সেবা কর্মকর্তা তানিয়া খন্দকার বলেন, পরীক্ষার্থীরা প্রথম প্রশ্নপত্র পাওয়ার পর কিছুটা অমিল পেয়েছিল। বিষয়টি কক্ষে দায়িত্বরত শিক্ষককে জানানো হলেও তিনি হয়ত তখন বুঝতে পারেননি। কিন্তু কক্ষ পরিদর্শনের সময় আমাকে পরীক্ষার্থী জানালে বুঝতে পারি সেটি ছিল ২০১৮ সালের প্রশ্নপত্র। বিষয়টি নিয়ে জেলা প্রশাসক স্যারের সঙ্গে আলোচনা করা হলে পুনরায় পরীক্ষা নেয়ার ব্যবস্থা করতে বলেন।

নওগাঁ জেলা প্রশাসক মো. মিজানুর রহমান বলেন, পরবর্তীতে পুনরায় পরীক্ষা নেয়া হয়েছে।