ডেঙ্গু প্রতিরোধে ব্যর্থ দুই মেয়রের পদত্যাগ দাবি গণফোরামের

প্রকাশিত: ৯:৪০ অপরাহ্ণ, জুলাই ২৯, ২০১৯
জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গণফোরাম আয়োজিত অবস্থান কর্মসূচি। ছবি: ফোকাস বাংলা

ডেঙ্গু প্রতিরোধে ব্যর্থতার অভিযোগ এনে ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়রের পদত্যাগ দাবি করেছেন গণফোরামের নেতারা। ডেঙ্গু, খুন-ধর্ষণের প্রতিবাদে সোমবার রাজধানীতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গণফোরাম আয়োজিত অবস্থান কর্মসূচিতে তারা এই দাবি জানান।

 

কর্মসূচিতে গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি অধ্যাপক আবু সাইয়িদ বলেন, মন্ত্রী সাহেবরা যত কথা বলেন, সেই কথা যদি যোগ করা হয় তাহলে দেখা যাবে এই কথার দ্বারা বাংলাদেশে একটা মশাও থাকার কথা না। কথার তোড়ে, মন্ত্রীদের দাপটে সমস্ত মশা ধ্বংস হওয়ার কথা। কিন্তু একেকজন মন্ত্রী একেকভাবে কথা বলেন।

মশা নির্মূলে ওষুধ কেনায় দুর্নীতি হয়েছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, এ সরকার সব ক্ষেত্রে ব্যর্থ। এটা গণতান্ত্রিক নয়, আমলা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর ভরসা করার সরকার। দুঃশাসনের কারণে মানুষ তাদের দাবি-দাওয়া নিয়ে রাস্তায় নেমেছে। এই সরকারের নীতি হচ্ছে গরিবের কাছ থেকে টাকা আদায় করে ধনীদের কাছে দেওয়া। যার জন্য বাংলাদেশে ধনী-গরিবের পার্থক্য বিরাট।

উত্তরাঞ্চলের বন্যাকবলিত মানুষ দুর্বিষহ জীবনযাপন করছে উল্লেখ করে আবু সাইয়িদ বলেন, ডেঙ্গু, খুন, ধর্ষণ, বন্যা সব মহামারিতে রূপান্তরিত হয়েছে। এই মহামারির সরকার জনগণ চায় না। শেয়ারবাজার থেকে টাকা লুট হয়ে গেল। প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন- টাকা পাচারকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবেন। কিন্তু তাতো পারবেন না, অন্তত নামগুলো বের করেন। বঙ্গবন্ধুর নাম করে যারা লুটপাট শুরু করেছেন তাদের মুখে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর নাম শোভা পায় না। জনগণ ঐক্যবদ্ধ হলে জোর করে ক্ষমতায় থাকা সরকারকে হটিয়ে দেবে।

গণফোরামের আরেক নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী বলেন, এই মুহূর্তে রাষ্ট্রপ্রধান জনগণের পাশে নেই। এ সরকার ভোট ডাকাতির সরকার। সেজন্য জনগণের দুঃখে তারা পাশে থাকবে না এটাই স্বাভাবিক। মানুষ ডেঙ্গুতে ভুগছে কিন্তু দুই মেয়র আনন্দ মিছিল করে বেড়ান। তিনি বলেন, এ সরকার যতদিন দেশ শাসন করবে ততদিন মানুষের দুঃখ বাড়বে। অবস্থান কর্মসূচিতে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- গণফোরামের সভাপতি পরিষদের সদস্য আমসা আ আমিন, জগলুল হায়দার আফ্রিক, সাংগঠনিক সম্পাদক লতিফুল বারী হামিম প্রমুখ।