অপরাধ কমাতে ৪ কোটি টাকা ব্যয়ে ১১০টি আইপি ক্যামেরা বসানো হচ্ছে সিলেটে

প্রকাশিত: ৪:০৫ অপরাহ্ণ, জুন ২১, ২০১৯

সিলেট নগরীতে  ছিনতাইকারী এবং ডাকাতির এলোপাথাড়ি ছুটোছুটিতে নগরীর মানুষ ভয়ে  আতঙ্কিত। গত কয়েক বছরে ছিতাইকারীর প্রবণতা বেড়েছে গণহারে ।

এই সকল অপরাধ বন্ধ করতে প্রায় ৪ কোটি টাকা ব্যয়ে ১১০টি আইপি ক্যামেরা বসানো হচ্ছে।‘ডিজিটাল সিলেট সিটি’ প্রকল্পের আওতায় এসব ক্যামেরা বসছে এই নগরীতে।

এসময় তিনি নগরবাসীকে নিরাপদ রাখতে পুলিশ প্রশাসনকে আরো সক্রিয় হয়ে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, সরকার দেশকে পুরোপুরি ডিজিটালাইজড করতে কাজ করে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, ছিনতাই, চুরি, রাহাজানি, খুন এসব অপরাধ ঠেকাতে সরকার ডিজিটাল সিটি প্রকল্পের উদ্যোগ নিয়েছে। এ প্রকল্প বাস্তবায়নে অপরাধ কমে আসবে, সাধারণ নাগরিক আরো সুন্দর ও নিরাপত্তা নিয়ে জীবনযাপন করতে পারবে।

এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার পরিতোষ ঘোষ, জেলা প্রশাসক এম কাজী এমদাদুল ইসলাম,  উপ পুলিশ কমিশনার, কামরুল আমিন,  উপ পুলিশ কমিশনার  ডিসি ফয়সাল মাহমুদ, কোতোয়ালী মডেল থানার এসি ইসমাইল হোসেন, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সেলিম মিয়া, প্রকল্প পরিচালক মহিদুর রহমান, উপ প্রকল্প পরিচালক মুধুসুদন চন্দ্র, স্থানীয় পার্টনার গ্লোবাল ট্রেড করপোরেশনের সিইও মছনুল করিম চৌধুরী ও তানজিমুল ইসলামসহ আরো অনেকে।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, সিলেটে অপরাধ বন্ধ করতে নগরের গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলোতে আইপি ক্যামেরা স্থাপন হচ্ছে। আইপি ক্যামেরা মূলত ফাইবার ক্যাবলের মাধ্যমে কাজ করে। এসব সিসি ক্যামেরা অপরাধীর ছবি ডিটেক্ট (চিহ্নিত) করে সিগন্যাল দিতে পুরোপুরি  সক্ষম। এক্ষেত্রে এসব ক্যামেরা নিজের সার্ভারে থাকা তথ্যের সহায়তা নেয়। আবার পুলিশও ছবি দিয়ে অনুসন্ধান চালিয়ে অপরাধী শনাক্ত করতে পারবে।

পর্যায়ক্রমে নগরের জিন্দাবাজার, বন্দরবাজার, চৌহাট্টা, কোর্ট পয়েন্ট, ক্বিন ব্রিজ,কদমতলী, হুমায়ুন রশীদ চত্বর, মুক্তিযোদ্ধা চত্বর, সুবিদবাজার, আম্বরখানা, নয়াসড়ক, কুমারপাড়া, শাহজালাল (রহ.) মাজার এলাকা, শাহপরান (রহ.) মাজার এলাকাসহ গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলোতে এই ক্যামেরা বসানো হবে বলে জানান।