
ডেস্ক রিপোর্ট : একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সারা দেশে শনিবার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।তবে ভোটগ্রহণের সময় ভোটের কারচুপির বিষয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। কারণ অতীত ইতিহাস থেকে আমরা দেখেছি বিভিন্ন জায়গায় ভোট কারচুপির ঘটনা ঘটেছে।
কিন্তু ভোটে কারচুপির যে অভিযোগ তোলা হচ্ছে সেই কারচুপির সুযোগ কতটা রয়েছে।
এ ব্যাপারে সাবেক নির্বাচন কমিশনার অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম সাখাওয়াত হোসেন জানান, নির্বাচনের অনেক ধাপেই এই কারচুপির আশঙ্কা থাকে।নির্বাচনে হুমকি-ধামকি থেকে শুরু করে ব্যালট কারচুপি বিশেষ করে ভোটের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের পক্ষপাতমূলক আচরণের অভিযোগ এসেছে সবচেয়ে বেশি।
তার মতে, একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে একজন প্রিসাইডিং কর্মকর্তাকে অনেক ক্ষমতা দেয়া হয়।
এখন প্রিসাইডিং কর্মকর্তা যদি সেই ক্ষমতা প্রয়োগ না করেন, বা তাকে বল প্রয়োগের মাধ্যমে সেই সুযোগ দেয়া না হয়, তাহলে তাকে যে উদ্দেশ্যে রাখা সেটা সফল হয় না।
ভোটগ্রহণের সময় কারচুপির সুযোগ কতটা রয়েছে-এ বিষয়ে গণমাধ্যমকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানিয়েছেন সাবেক নির্বাচন কমিশনার অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম সাখাওয়াত হোসেন।
আসুন জেনে নেই ভোটগ্রহণের সময় কারচুপির সুযোগ কতটা রয়েছে-
ভোটগ্রহণের আগের রাতে ব্যালট বাক্স পূর্ণ করা
কারচুপির বিষয়ে আগে যেসব অভিযোগ আসত তার মধ্যে একটি হলভোট গ্রহণের আগের রাতে ব্যালট বাক্সগুলো পূর্ণ করে দেয়া। তবে এখন স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স আসায় সেটা সম্ভব হয় না।
বাড়তি ব্যালট বাক্স
প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে একটি করে বাড়তি ব্যালট বাক্স যুক্ত করা হয়। যেন দুর্ঘটনায় কোনো ব্যালট বাক্স ক্ষতিগ্রস্ত হলে সেটাকে পাল্টানো যায়।এই বাড়তি ব্যালট বাক্সটি প্রিসাইডিং কর্মকর্তার তত্ত্বাবধানে থাকে।
তবে ইদানীং যে অভিযোগ ওঠে সেটা হলো যে, আগের রাতেই এই বাড়তি ব্যালট বাক্সটি দখলে নিয়ে ব্যালট পেপারে পূর্ণ করা হয়।
এজেন্ট ইস্যু
এজেন্ট ইস্যুতেও ভোট কারচুপির সুযোগ থাকে প্রতিপক্ষের এজেন্টকে ভোটকেন্দ্রে ঢুকতেই দেয়া হয়নি। এই এজেন্ট না থাকলে, বুথের ভেতরে ব্যালট পেপার ছিনতাই এবং সেগুলোয় সিল দিয়ে রেখে দেয়ার সুযোগ থাকে। মূলত পোলিং কর্মকর্তা এবং প্রিসাইডিং কর্মকর্তার কারসাজিতে এটা করা হয়ে থাকেন।
ইভিএমে কারচুপি
এবারের নির্বাচনে দেশের ছয়টি আসনে ইভিএমের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ করা হবে বলে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। এ ব্যাপারে শুরু থেকেই বিরোধীদের অভিযোগ, এই ইভিএমের মাধ্যমে ডিজিটাল কারচুপির সুযোগ রয়েছে।
প্রত্যেকটি কেন্দ্রের ইভিএম মেশিনের আলাদা করে চিপ থাকে। সব চিপগুলোতে যখন প্রোগ্রামিং করা হয় বা প্রোগ্রামিংয়ের পর কপি করা হয়। তখন প্রোগ্রামটি স্বচ্ছ হতে পারে আবার করাপ্টেডও হতে পারে
এবারের ইভিএম পরিচালনায় সেনাবাহিনীর পাশাপাশি কয়েকজন প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা যুক্ত থাকায়, কারচুপির সুযোগ তেমনটা নেই।