হজের টিকিট নিয়ে সানশাইন এজেন্সির সিন্ডিকেট বাণিজ্য

প্রকাশিত: ৩:১৩ পূর্বাহ্ণ, জুন ২৬, ২০১৯

সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, একটি ট্রাভেলস এজেন্সিকে এয়ারলাইন্স থেকে সর্বোচ্চ ৩০০ হজের টিকিট বরাদ্দ দেয়ার কথা রয়েছে।

 

অথচ সানশাইন এক্সপ্রেস ট্রাভেলস ইনকর্পোরেশন নামের এক ট্রাভেলস এজেন্সিতেই পাওয়া গেলে সৌদি এয়ারলাইন্সের হজের ১৩ হাজার টিকিট! যা কিনা মোট টিকিটের প্রায় পাঁচ ভাগের এক ভাগ।

গতকাল মঙ্গলবার বিকালে নয়াপল্টনের কাজী টাওয়ারের ওই ট্রাভেলস এজেন্সিতে অভিযান চালিয়ে এসব টিকিট পাওয়া যায়।

তাছাড়াও ওই এজেন্সি সেগুলো অতিরিক্ত দামে বিক্রি করছিল বলে র‌্যাবের অভিযান থেকে জানান হয়েছে।

 

অভিজানের নেতৃত্বে ছিলেন র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম।

বেশি টিকিট বরাদ্দ নিয়ে সিন্ডিকেট করে বেশি দামে বিক্রি করার অপরাধে সানশাইনকে ২০ লাখ টাকা জরিমানা করেন তিনি।

একইভাবে পল্টনের হাসেম এয়ার ইন্টারন্যাশনাল চার হাজার ৮০০টি টিকিট, চ্যালেঞ্জার ট্রাভেলস এক হাজার ৬০০ টিকিট ও গোল্ডেন বেঙ্গল তিন হাজার ৭০৮টি টিকিট বরাদ্দ নিয়ে বিক্রি করেছে বলে জানান সারওয়ার আলম। তাদের প্রত্যেককে ১০ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।

গণমাধ্যমকে তিনি জানান, যেখানে আইন অনুযায়ী একটি ট্রাভেলস এজেন্সির এয়ারলাইন্স থেকে সর্বোচ্চ ৩০০ টিকিট বরাদ্দ পাওয়ার কথা সেখানে সরকারি আদেশ অমান্য করে সৌদি এয়ারলাইন্সের ১৩ হাজার ২০টি টিকিট বরাদ্দ নিয়ে সিন্ডিকেট করে বেশি দামে বিক্রি করেছে সানশাইন এক্সপ্রেস ট্রাভেলস।

এজেন্সিটি সরকারের নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে প্রতি টিকিটে গড়ে ২৫ হাজার টাকা বেশি নিয়েছে বলে জানান তিনি।

তিনি বলেন, যারা অতিরিক্ত মূল্যে এসব এজেন্সি থেকে হজের টিকিট কিনেছেন তারা প্রমাণসহ বিষয়টি উপস্থাপন করলে টাকা ফিরে পাবেন।

৩০০ এর জায়গায় ১৩ হাজার টিকিট কিভাবে পেল এজেন্সিটি এমন প্রশ্নে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম বলেন, সৌদি এয়ারলাইন্সের কিছু লোকের সঙ্গে আঁতাত এ রকম কিছু ট্রাভেলস এজেন্সি অতিরিক্ত টিকিট বরাদ্দ নিয়েছে।

যদিও একই প্রশ্নের ভিন্নরকম জবাব দিয়েছেন সানশাইন ট্রাভেলসের প্রধান নির্বাহী মোহাম্মদ আনিছুর রহমান।

তার দাবি, এখানে আমাদের কোনো হাত নেই। যারা বেশি টিকিট বিক্রি করতে পারে তাদের বেশি টিকিট বরাদ্দ দিয়ে থাকে সৌদি এয়ারলাইন্স। এটা তাদের পলিসি।হজের আগে আমাদের সেলস পারফরম্যান্স বেশ ভালো। তাই সেই সেলসের ওপর ভিত্তি করে সৌদি এয়ারলাইন্স আমাদের বেশি টিকিট বরাদ্দ দিয়েছে।

সরকারের নির্ধারিত মূল্যের বেশি দামে টিকিট বিক্রি করেন না বলেও দাবি করেন তিনি।

প্রসঙ্গত এবার বাংলাদেশ থেকে হজযাত্রীর সংখ্যা এক লাখ ২৭ হাজার। এসব হজযাত্রীর মধ্যে বাংলাদেশ বিমানে ৫০ শতাংশ ও সৌদি এয়ারলাইন্স ৫০ শতাংশ হজযাত্রী বহন করবে।