শ্রমিকদের কর্মস্থলে ফেরাতে গণপরিবহন চলবে

প্রকাশিত: ৯:৩১ অপরাহ্ণ, জুলাই ৩১, ২০২১

রফতানিমুখী শিল্পের শ্রমিকদের ঢাকা আসার সুবিধার্থে কয়েক ঘণ্টার জন্য গণপরিবহন চলাচলের অনুমতি দিয়েছে সরকার। শ্রমিক পরিবহনের জন্য আগামীকাল দুপুর পর্যন্ত বিভিন্ন রুটের বাস ও লঞ্চ চলবে।

আজ শনিবার সন্ধ্যার পর থেকে লঞ্চ চলাচলের অনুমতি দিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। রাতে বিআইডব্লিউটিএ’র জনসংযোগ কর্মকর্তা মিজানুর রহমান টাইমস বিডিকে এ তথ্য জানান।

অন্যদিকে দেশের সকল রুটে বাস চলাচল করবে বলে টাইমস বিডিকে নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্যাহ।

এছাড়া আগামীকাল দুপুর পর্যন্ত গণপরিবহন চলবে বলে জানিয়েছেন বিজিএমইএ’র সভাপতি ফারুক হাসান।

টাইমস বিডিকে তিনি জানিয়েছেন, ‘আগামীকাল দুপুর ১২টা পর্যন্ত শ্রমিক পরিবহনের জন্য গণপরিবহন চলাচলে বিধিনিষেধ শিথিল করার কথা আমাকে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জানানো হয়েছে।’

তবে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছে, সীমিত সময়ের জন্য ট্রেন চলাচল করবে না।

কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যে রোববার (১ আগস্ট) থেকে রফতানিমুখী শিল্প-কারখানা খুলে দিয়েছে সরকার। এই ঘোষণার পর শনিবার ঢাকামুখী মানুষের ঢল নেমেছে। গণপরিবহন বন্ধ থাকায় কাজে যোগ দিতে শ্রমিকরা সীমাহীন দুর্ভোগ সয়ে কর্মস্থলে ফিরছেন।

যদিও জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন জানিয়েছেন, শিল্প-কারখানা খুললেও আপাতত কেউ কাজে যোগ না দিলে চাকরি নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই, তারা চাকরি হারাবেন না। ঈদে বাড়ি গিয়ে যারা ফিরতে পারেননি তারা ৫ আগস্টের পর পর্যায়ক্রমে ফিরবেন।

দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ পরিস্থিতি উদ্বেগজনক পর্যায়ে চলে যাওয়ায় গত কয়েক মাস ধরে বিধিনিষেধ আরোপ করে তা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে সরকার। ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে আট দিনের জন্য শিথিল করা হয়েছিল বিধিনিষেধ। এরপর আবার গত ২৩ জুলাই সকাল ৬টা থেকে ১৪ দিনের কঠোর বিধিনিষেধ দিয়েছে সরকার। আগামী ৫ আগস্ট মধ্যরাত পর্যন্ত থাকবে এই বিধিনিষেধ।

বিধিনিষেধে সব ধরনের গণপরিবহন, সরকারি-বেসরকারি অফিস বন্ধ রয়েছে। খাদ্যপণ্য উৎপাদন-প্রক্রিয়াকরণ, চামড়া পরিবহন-সংরক্ষণ ও ওষুধ খাত ছাড়া বন্ধ ছিল সব ধরনের শিল্প-কারখানা।