লঞ্চ বোঝাই যাত্রী, মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি

প্রকাশিত: ৬:২৩ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ৩, ২০২১

লঞ্চে ভিড় লেগেছে যাত্রীদের। কোনো ধরনের স্বাস্থ্যবিধি মানার বালাই নেই। অর্ধেক যাত্রী উঠানোর যে নির্দেশনা রয়েছে তা মানা হচ্ছে না।

শনিবার (৩ এপ্রিল) সরেজমিনে ঢাকার সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে যাত্রীদের প্রচণ্ড ভিড় দেখা গেছে।

সেখানে গেলে দেখা যায়, লঞ্চের ডেকে যাত্রীরা শুয়ে-বসে, ঘেঁষাঘেঁষি করে অবস্থান করছেন। মুখে মাস্ক পরা থাকলেও যাত্রীরা লঞ্চের মধ্যে জট বেধে কেউ কার্ড খেলছেন, কেউ ছক্কা, কেউ আবার জড়ো হয়ে আড্ডা দিচ্ছেন।

চাঁদপুরগামী ঈগল ৭ লঞ্চে দেখা গেছে, লঞ্চের ভেতর মানুষের ছড়াছড়ি ও হৈচৈ। লঞ্চ কর্তৃপক্ষ যাত্রীদের স্বাস্থ্যবিধি মানার জন্য ডেকে দাগ টেনে বসার স্থান নির্ধারণসহ বিভিন্ন নির্দেশনা দিয়ে রেখেছে তা মানছেন যাত্রীরা। তিন তলা এই লঞ্চের পুরোটার চিত্রই একই।

চাঁদপুরগামী যাত্রী সাগর হোসেন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘লঞ্চে অর্ধেকের বেশি যাত্রী নেয়া হচ্ছে। কিন্ত ভাড়া ৬০ শতাংশ বেশিই নিচ্ছে। আগে ডেকে ভাড়া ছিল ১২০, এখন ১৮০। কিন্ত যাত্রী আগের মতই বোঝাই করে নিচ্ছে।’

তবে এ বিষয়ে ঈগল লঞ্চের কেরানী বলছেন ভিন্ন কথা। তিনি বলেন, ‘এক ফ্যামিলির পাঁচজন সদস্য সিট না নিয়ে ডেকে করে যাচ্ছেন। আমরা দাগ টেনে দিয়েছি তারা সেগুলা মানছেন না। এরকম অনেক ফ্যামিলি চাদর বিছিয়ে নিজেদের মতো করে যাচ্ছেন।

 

ভাড়ার বিষয়ে বলেন, ‘সরকার থেকে যতোটুকু ভাড়া নির্ধারণ করে দিয়েছে আমরা ততোটুকুই নিচ্ছি। কেবিনে ভাড়া বৃদ্ধি হয়নি। শুধু ডেক, আর চেয়ার কোচের ভাড়া ৬০ শতাংশ বৃদ্ধি হয়েছে।’

ঢাকা থেকে ইলিশা যাওয়ার আল ওয়ালিদ লঞ্চেও দেখা মিলেছে একই চিত্র। সেখানেও লঞ্চের প্রায় সব চেয়ারে যাত্রীদের বসে থাকতে সেখা গেছে। ডেকেও একসঙ্গে শুয়ে-বসে রয়েছেন তারা।

এ লঞ্চের ম্যানেজার সিরাজ উদ্দীন বলেন, ‘আমরা স্বাস্থ্যবিধি মানার জন্য পর্যাপ্ত নির্দেশনা দিয়ে থাকলেও যাত্রীরা সেটা মানছেন না। আমরা অর্ধেকের কম যাত্রী নিয়ে চলার চেষ্টা করি। কিন্তু যাত্রীদের অধিকাংশই ডেকে করে যাওয়ার চেষ্টা করেন তাই ভিড় দেখাচ্ছে বেশি।’

ঢাকা নদী বন্দর ও পরিবহন বিভাগের উপ-পরিচালক এহতেশামুল হক পারভেজ বলেন, ‘স্বাস্থ্যবিধি মানার জন্য আমাদের লঞ্চ মালিক পর্যাপ্ত নির্দেশনা দিয়ে থাকলেও যাত্রীরা সেটি মানছেন না। এতে আমাদের কিছু করার নেই।’

অর্ধেকের বেশি যাত্রী নেয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি অবগত নই। তবে শুক্রবার ও শনিবার একটু ভিড় বেশি হচ্ছে।’

সোমবার থেকে দেয়া লকডাউনে আগামী এক সপ্তাহ লঞ্চ চলাচল করবে কিনা এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘সরকার আমাদের যে সিদ্ধান্ত দেয় আমরা সে সিদ্ধান্ত মেনে চলব।’