ওয়ান্দা মেত্রোপলিতানোয় রোববার রাতে হাইভোল্টেজ ম্যাচটি ১-০ গোলে জিতেছে এরনেস্তো ভালভেরদের দল।

রক্ষণের ভুলে ম্যাচের শুরুতেই গোল খেতে বসেছিল বার্সেলোনা। সপ্তম মিনিটে ডিফেন্ডাররা বল বিপদমুক্ত করতে ব্যর্থ হলে ডান দিক থেকে কোনাকুনি শট নেন মারিও এরমোসো। ঠেকাতে পা বাড়িয়ে দেন জুনিয়র ফিরপো। বল তার পায়ে লেগে গোলরক্ষককে ফাঁকি দিয়ে পোস্টে বাধা পেলে বেঁচে যায় শিরোপাধারীরা।

উনবিংশ মিনিটে অসাধারণ ক্ষিপ্রতায় জাল অক্ষত রাখেন বার্সেলোনা গোলরক্ষক। ডান দিক থেকে এরমোসোর শট ঝাঁপিয়ে রুখে দেন মার্ক-আন্ড্রে টের স্টেগেন।

প্রথম ২০ মিনিটে আক্রমণাত্মক ফুটবলে আতলেতিকো চাপ ধরে রাখার পর ধীরে ধীরে খেলায় ফিরতে থাকে বার্সেলোনা। তবে মেসি-সুয়ারেসরা বল পাওয়ার পর স্বাগতিকদের দুই-তিন জন খেলোয়াড়ের তাকে ঘিরে ধরে বল দখলের নেওয়ার চেষ্টা ছিল দেখার মতে।

জমাট রক্ষণ ভেঙে ডি-বক্সে ঢুকতে পারছিল না বার্সেলোনা। এর মাঝে ৩৬তম মিনিটে ডি-বক্সের বাইরে থেকে আচমকা বুলেট গতির শটে ভীতি ছড়ান লু্ইস সুয়ারেস। পাঁচ মিনিট পর আবারও টের স্টেগেনের নৈপুণ্যে বেঁচে যায় চ্যাম্পিয়নরা। এ যাত্রায় অরক্ষিত আলভারো মোরাতার হেড রুখে দেন তিনি।

দুর্ভাগ্য বাধ না সাধলে দুই মিনিট পর কাঙ্ক্ষিত গোল পেতে পারতো বার্সেলোনা। কিন্তু জেরার্দ পিকের হেড এক ড্রপে ক্রসবারে বাধা পায়।

দ্বিতীয়ার্ধের প্রথম ২০ মিনিটে উভয় পক্ষ একবার করে সুবর্ণ সুযোগ পেয়েছিল। কিন্তু গোলের দেখা মেলেনি। ৭২তম মিনিটে আরেকটি সুযোগ নষ্ট হয় আতলেতিকোর, গোলমুখ থেকে বল ফেরান সের্হিও রবের্তো।

অবশেষে ৮৭তম মিনিটে কাঙ্ক্ষিত গোলের দেখা মেলে। নিজেদের সীমানা থেকে রবের্তোর বাড়ানো পাস ধরে ছুট দিলেন মেসি। কিছুটা আড়াআড়ি এগিয়ে সুয়ারেসকে বল বাড়িয়ে এগিয়ে গেলেন বাঁ দিকে। সুয়ারেস শুধু একটা টোকায় বলের দিক পাল্টে দিলেন। আর ডি-বক্সের কিনারা থেকে বাঁ পায়ের দুর্দান্ত শটে ঠিকানা খুঁজে নিলেন রেকর্ড ছয়বারের বর্ষসেরা ফুটবলার।

উল্লাসে ফেটে পড়ল বার্সেলোনা। রিয়াল মাদ্রিদকে হটিয়ে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষস্থান পুনরুদ্ধার করল কাতালান ক্লাবটি।