নারায়ণগঞ্জের প্রশাসনে আরও রদবদল শিগগিরই

মামুনুল হকের রিসোর্টকাণ্ড: সোনারগাঁও থানার ওসিকে বাধ্যতামূলক অবসর

প্রকাশিত: ১:১৬ পূর্বাহ্ণ, এপ্রিল ২০, ২০২১
ওসি রফিকুল

নারায়ণঞ্জে রিসোর্টে হেফাজত নেতা মামুনুল হকের কথিত দ্বিতীয় স্ত্রীসহ আটকের ঘটনায় অপেশাদার আচরণের কারণে এবার বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হলো সোনারগাঁ থানার ওসি রফিকুল ইসলামকে। সোমবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের উপসচিব ধনঞ্জয় কুমার দাসের স্বাক্ষর করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, রফিকুলের চাকরির মেয়াদ ২৫ বছর পূর্ণ হওয়ায় সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮-এর ৪৫ ধারা অনুযায়ী তাকে অবসরে পাঠিয়েছে সরকার। বিধি মোতাবেক অবসরজনিত সকল সুবিধা পাবেন তিনি। এর আগে রিসোর্ট ইস্যুতে নারায়ণঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার টি এম মোশাররফ হোসেনকে বরখাস্ত করা হয়।

পুলিশের একটি দায়িত্বশীল সূত্র টাইমস বিডিকে জানায়- রিসোর্টে ওই দিনের ঘটনা সঠিকভাবে মোকাবিলা করতে ব্যর্থ হওয়ায় ওসির বিরুদ্ধে এমন ব্যবস্থা নেওয়া হলো।

এদিকে অপর একটি সূত্র জানায়, নারায়ণঞ্জে প্রশাসনের শীর্ষ পদে শিগগিরই আরো রদবদল আসছে। তাদের বিরুদ্ধে দায়িত্বে গাফিলতির গুরুতর অভিযোগ রয়েছে।

গত ৩ এপ্রিল হেফাজতে ইসলামের অন্যতম শীর্ষ নেতা মামুনুল হক এক নারীকে নিয়ে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ের রয়্যাল রিসোর্টে যান। ওই নারীকে দ্বিতীয় স্ত্রী দাবি করেন তিনি। কথিত স্ত্রীসহ রিসোর্টে অবরুদ্ধ হওয়ার পর ব্যাপক তাণ্ডব চালিয়ে মামুনুলকে ছিনিয়ে নেয় হেফাজত নেতাকর্মীরা। রয়্যাল রিসোর্টসহ বিভিন্ন স্থাপনায় ভাংচুর করা হয়। এ সময় পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসন যথাযথ পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হয়। রিসোর্টকাণ্ডের পর দিনই সোনারগাঁ থানার ওসি রফিকুল ইসলামকে বদলি করা হয় নারায়ণগঞ্জের পুলিশ লাইন্সে। এরপর সোমবার ওসি রফিকুল ইসলামকে অবসরে পাঠানো হয়েছে।

রিসোর্ট-কাণ্ডে মামুনুল হককে ছিনিয়ে নেওয়ার পর নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার জায়েদুল আলমসহ স্থানীয় প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তাদের বিচক্ষণতা, দক্ষতা ও পেশাদারিত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠে। পুলিশের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাদের নিয়ে হেফাজত কাণ্ড নিয়ে পর্যালোচনা সভায় নারায়ণঞ্জের প্রশাসনের ব্যর্থতার বিষয়টি উঠে আসে।