বাংলাদেশ থেকে বাইসাইকেল নিতে চান মমতা

ভারত মুক্তিযুদ্ধের সময় পাশে ছিল তা ভুলিনি: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত: ১:৩৪ পূর্বাহ্ণ, নভেম্বর ২৩, ২০১৯
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি গতকাল কলকাতায় একটি হোটেলে বৈঠক করেন। ফোকাস বাংলা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ভারত মুক্তিযুদ্ধের সময় আমাদের পাশে ছিল। এই কলকাতাই ১ কোটি শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়েছিল, তা আমরা কোনোদিন ভুলিনি। গতকাল শুক্রবার ভারতের কলকাতার তাজবেঙ্গল হোটেলে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির সঙ্গে বৈঠককালে তিনি এ কথা বলেন। বৈঠক শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. আব্দুল মোমেন সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

 

বৈঠকে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি পারস্পরিক স্বার্থে বাংলাদেশ থেকে বাইসাইকেল আমদানির আগ্রহ প্রকাশ করে বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গে বাইসাইকেলের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। বাংলাদেশ পশ্চিমবঙ্গে সাইকেল রপ্তানির এ সুযোগটি কাজে লাগাতে পারে।’

বৈঠকে মমতা এ বিষয়ে দুটি প্রস্তাব উত্থাপন করেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের উদ্যোক্তারা যৌথভাবে পশ্চিমবঙ্গে বাইসাইকেলের কারখানা স্থাপন করতে পারেন। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তার সরকার এ ব্যাপারে জমি বরাদ্দ দেবে। মমতা বলেন, দ্বিতীয়ত বাংলাদেশের বিনিয়োগকারীরা এ ধরনের কারখানা বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে স্থাপন করতে পারে। এতে পরিবহন খরচ অনেকটাই কমে যাবে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন বলেন, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা ও শিল্পকারখানার ওপর সহযোগিতার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন।

মমতা ব্যানার্জি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে তাদের সমাজকল্যাণমূলক কর্মসূচির সম্পর্কে অবহিত করেন। তিনি উল্লেখ করেন, ভারতের অন্য রাজ্যগুলোর মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ সর্বোচ্চ ৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। মমতা ব্যানার্জিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী কর্মসূচির বিষয়ে অবহিত করেন। তিনি দেশে শিক্ষাখাতের উন্নয়নে তার সরকারের গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপ তুলে ধরেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন বলেন, বৈঠকের শুরুতে শেখ হাসিনা ও মমতা ব্যানার্জি শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ভারতের ইডেন গার্ডেনে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার ঐতিহাসিক দিবারাত্রির টেস্ট ম্যাচ দেখার জন্য কলকাতা সফরে আসায় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান।

 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি সৌরভ গাঙ্গুলীর দাওয়াতে এসেছি। দুই দেশের মধ্যে গোলাপি বলে প্রথম খেলা হচ্ছে। বাংলাদেশের জনগণের তরফ থেকে আমি সবাইকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। ইডেনের ঐতিহাসিক দিবারাত্রির টেস্টে বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে মাত্র ১০৬ রানে অলআউট হয়ে যাওয়া প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, ক্রিকেটাররা আজ ভালো করেনি। ইনশাল্লাহ, একদিন ভালো করবে।

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম, পররাষ্ট্রসচিব শহিদুল হক, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব সাজ্জাদুল হাসান, ভারতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী এবং ঢাকায় ভারতের হাইকমিশনার রিভা গাঙ্গুলি দাস এ সময় উপস্থিত ছিলেন।