ভারত-পাকিস্তান পরমাণু যুদ্ধ ২০২৫ সালে!

প্রকাশিত: ৩:৫৪ পূর্বাহ্ণ, অক্টোবর ২০, ২০১৯

দক্ষিণ এশিয়ার পরমাণু শক্তিধর দুই প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে ২০২৫ সালে পারমানবিক যুদ্ধ লাগতে পারে এবং কাশ্মীর ইস্যুতে এই যুদ্ধে কোটি কোটি মানুষ প্রাণ হারাতে পারে। সম্প্রতি আমেরিকার রাটগার্স বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রকাশিত এক গবেষণায় এমন আশঙ্কার কথা বলা হয়েছে। খবর বিবিসি’র।

 

গবেষকরা বলছেন, এই যুদ্ধে মুহূর্তের মধ্যে প্রাণ হারাতে পারে ১২ কোটি মানুষ। যুদ্ধের ফলে জলবায়ুর উপর মারাত্মক প্রভাবের ফলে অনাহারে প্রাণ হারাতে পারে আরও কয়েক কোটি মানুষ। এই যুদ্ধ কিভাবে শুরু হবে তার কিছু কাল্পনিক দৃশ্য গবেষণায় অঙ্কিত হয়েছে।

প্রথমত: ভারতের পার্লামেন্টে এক জন সন্ত্রাসী হামলা চালাবে। এতে ভারতীয় সাংসদ প্রাণ হারাবে। জবাবে ভারতীয় সেনাবাহিনী পাকিস্তানের সীমানায় ঢুকে আক্রমণ করবে। নিজেদের বাঁচাতে পাকিস্তান পারমানবিক বোমা ব্যবহার করবে। জবাবে ভারতও পারমাণবিক বোমা প্রয়োগ করবে। এতে দুই দেশই তাদের হাতে থাকা সকল পারমানবিক অস্ত্র নিয়ে যুদ্ধে লিপ্ত হবে।

দ্বিতীয়ত: ভারত কাশ্মীরে হামলা চালাবে। ফলে পাকিস্তান ভারতের উপর হামলা চালাবে। এতে শুরু হবে পারমাণবিক যুদ্ধ।

এই গবেষণার সঙ্গে যুক্ত রাটগার্স বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. অ্যালান বোরাক জানিয়েছেন, ভারত ও পাকিস্তান ক্রমাগত তাদের ভাণ্ডারে প্রচণ্ড শক্তিশালী পারমাণবিক অস্ত্রের সংখ্যা বাড়াচ্ছে। ফলে তারা আশঙ্কা করছেন ভারত-পাকিস্তানের মধ্যেই পরবর্তী পারমাণবিক যুদ্ধ বাঁধবে।

গবেষণাটি করতে ভারত ও পাকিস্তানের সাবেক কয়েকজন জেনারেলের সহায়তা নেওয়া হয়েছে। তাদেরকে করা নানা প্রশ্ন ও মতামতের উপর ভিত্তি করে দৃশ্য-কল্পগুলো তৈরি করা হয়েছে। তবে ভারতীয় সেনাবাহিনীর সাবেক কর্মকর্তা দীপঙ্কর ব্যানার্জী গবেষণাটিকে কাল্পনিক এবং ভিত্তিহীন বলে মন্তব্য করেছেন।

এদিকে পাকিস্তানের কায়েদে আজম বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানী ড. পারভেজ হুডভাই এই গবেষণার সঙ্গে একমত পোষণ করে বলেছেন, ভারত পাকিস্তানের মধ্যে যে কোন সময় যুদ্ধ বাঁধতে পারে। যেহেতু দুটো দেশের উত্তেজনা বিদ্যমান এবং তারা পরমাণু অস্ত্রধর, সেহেতু যেকোনো কিছুই ঘটতে পারে।