বগুড়ায় জেইউবির সাংবাদিক সমাবেশ

মিরাজুল ইসলাম মিরাজুল ইসলাম

জেলা প্রতিনিধি, বগুড়া

প্রকাশিত: ৮:৪৮ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ৬, ২০১৯

সারাদেশে সাংবাদিক হত্যা, নির্যাতনের প্রতিবাদ, বন্ধ মিডিয়া খুলে দেওয়ার দাবি এবং নবম ওয়েজ বোর্ড সংশোধনের দাবীতে ঢাকায় মহাসমাবেশের ঘোষণা দিয়েছেন সাংবাদিক নেতারা। বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সভাপতি রুহুল আমিন গাজী রোববার বিকেলে সাংবাদিক ইউনিয়ন বগুড়া আয়োজিত সাংবাদিক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এই ঘোষণা দেন। এসময় তিনি ভারতের সাথে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বাক্ষরিত চুক্তির কঠোর সমালোচনা করেন। সাংবাদিক ইউনিয়ন বগুড়া’র সভাপতি মির্জা সেলিম রেজা’র সভাপতিত্বে স্থানীয় একটি মোটেলে আয়োজিত সমাবেশে প্রধান বক্তা ছিলেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) মহাসচিব এম আবদুল্লাহ।

রুহুল আমিন গাজী বলেন, আওয়ামীলীগ কখনোই সংবাদপত্রের স্বাধীনতার পক্ষে ছিলোনা। স্বাদীনতার পরই তারা দেশের সব পত্রিকা বন্ধ করে মাত্র চারটি দৈনিক পত্রিকা রেখেছিল।১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসেও দেশের সংবাদপত্রের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিল আওয়ামীলীগ। তারা আমারদেশ বন্ধ করেছে। দিগন্ত টেলিভিশন, চ্যানেল ওয়ান, ইসলামী টিভিসহ অসংখ্য মিডিয়া বন্ধ করেছে। প্রতিনিয়ত সারাদেশে সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনা ঘটছে। অথচ একটি ঘটনারও বিচার হচ্ছেনা। এক শ্রেণির সাংবাদিকের অতিমাত্রার দালালীর কারনে সাংবাদিক সমাজ ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। তিনি বলেন, ভারতের সাথে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সম্প্রতি স্বাক্ষরিত চুক্তি সম্পর্কে তিনি বলেন, তিস্তার খবর নাই, অথচ ফেনী নদীল পানি ওপারে চলে গেল। গোপনে ভারতকে সমুদ্র বন্দর ব্যবহারের চুক্তি করা হলো। আর কিছু দেয়া বাঁকি থাকলোনা। বিনা ভোটে ক্ষমতায় বসানোর পুরস্কার হিসেবে ভারতকে সবকিছু দিয়ে দিচ্ছে আওয়ামীলীগ। তিনি বলেন, সাগর-রুনিসহ সকল সাংবাদিক হত্যার বিচার করতে হবে। সারাদেশ সফরের পর ঢাকায় মহাসমাবেশ করে নবম ওয়েজ বোর্ড সংশোধনের দাবি জানানো হবে।

প্রধান বক্তার বক্তব্যে এম আবদুল্লাহ বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান এদেশে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। আজ বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে বন্দী রেখে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। আমরা অবিলম্বে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি জানাই। তিনি বলেন, সারাদেশে বিভিন্ন গণমাদ্যমে সাংবাদিক ছাঁটাই করা হচ্ছে। ছাঁটাইকৃত সাংবাদিকরা বিএনপি কিম্বা জামায়াত সমর্থক নয়। তারা সরকারেরই সমর্থক। অভিযোগ রয়েছে কমপক্ষে ২০টি প্রভাবশালী গণমাধ্যম ২৯ ডিসেম্বরের নির্বাচনকে বৈধতা দিতে ২০ কোটি টাকা করে নিয়েছে।

সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিএফইউজে’র নির্বাহী সদস্য সৈয়দ ফজলে রাব্বী ডলার, ড. সাদেকুল ইসলাম স্বপন, বগুড়া প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি রেজাউল হাসান রানু, সাংবাদিক ইউনিয়ন বগুড়ার সাবেক সভাপতি মতিয়ুল ইসলাম সাদী, সাংবাদিক ইউনিয়ন বগুড়া’র সাধারণ সম্পাদক গণেশ দাস, আলহাজ্ব মমিনুর রশিদ সাইন, এফ শাহজাহান, বাদল চৌধুরী, হারুনুর রশিদ তালুকদার, রাহাত রিটু, আবুল কালাম আজাদ, ইনছান আলী শেখ, আব্দুস সাত্তার, আব্দুল ওয়াদুদ, জেডএ মিলন, সুমন সরদার প্রমূখ।