প্রশ্নফাঁস চক্রের মূলোৎপাটন করা হয়েছে, দাবি সিআইডির

প্রকাশিত: ৪:৩৫ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১, ২০১৯

প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্রের মূলোৎপাটন করা হয়েছে। গত দেড় বছরে দুটি বড় চক্রের ৪৬ সদস্যকে গ্রেফতারের মধ্য দিয়ে এই অপরাধের শেকড়ে পৌঁছানো সম্ভব হয়েছে। সবশেষ ডিজিটাল ডিভাইস জালিয়াত চক্রের মূল হোতা ব্যাংকের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা হাফিজুর রহমান হাফিজ ও ব্যবসায়ী মাসুদ রহমান তাজুলকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে সিআইডির সদর দফতরে এক সংবাদ সম্মেলনে সিআইডির প্রধান শেখ হিমায়েত হোসেন বলেন, প্রশ্নপত্র ফাঁস নিয়ে সিআইডি দীর্ঘদিন কাজ করছে। এ কাজে আমরা অনেকটাই সফল হয়েছি। সিআইডি প্রধান শেখ হিমায়েত হোসেন বলেন, ভর্তি ও নিয়োগ পরীক্ষায় মূলত দুইভাবে জালিয়াতি হয়। একটি চক্র প্রশ্ন ফাঁস করে। অন্যটি পরীক্ষার দিন প্রশ্ন সংগ্রহ করে সমাধান বের করে। এরপর ডিজিটাল ডিভাইসের মাধ্যমে তা পরীক্ষার্থীদের সরবরাহ করে।

সিআইডি প্রশ্নফাঁস চক্রটিকে আগেই শনাক্ত করেছে এবং অপরাধীদের গ্রেফতার করেছে। এবার ডিজিটাল ডিভাইস জালিয়াতি চক্রটিকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযান চালিয়ে ডিজিটাল জালিয়াত চক্রের মূল হোতা বিকেএসপির সহকারী পরিচালক অলিপ কুমার বিশ্বাস, ৩৮তম বিসিএসে নন-ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত ইব্রাহীম মোল্লা, বিএডিসির সহকারী প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোস্তফা কামাল, আইয়ুব আলী বাঁধনসহ ৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়। এই চক্রটি বিসিএস পরীক্ষায়ও জালিয়াতি করেছে।

কয়েক দিনের অভিযানে হাফিজ ও তাজুল গ্রেফতার হয়েছে। সম্প্রতি গ্রেফতার ৯ জনের মধ্যে হাফিজ জনতা ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার এবং তাজুল ব্যবসায়ী। বাকিদের মধ্যে আবদুর রহমান রমিজ, সাইদুর রহমান ও মোহায়মিনুল ইসলাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসির ছাত্র, রিমন গ্রিন ইউনিভার্সিটির ছাত্র, জাহাঙ্গীর আলম অগ্রণী ব্যাংকের ক্যাশ অফিসার, মোশারফ হোসেন মোসা ঢাকা কলেজের পিওন, অসীম বিশ্বাস ঢাকা কলেজের সাবেক শিক্ষার্থী।