দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের সরিয়ে দেয়ার নির্দেশ ওবায়দুল কাদেরের

প্রকাশিত: ৭:২৫ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২২, ২০১৯

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্পোরেশনের (বিআরটিসি) কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অনিয়ম এবং দুর্নীতি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

একই সঙ্গে ব্যক্তিস্বার্থে রাষ্ট্রীয় সম্পদের ক্ষতি যেন আর না হয় সে বিষয়ে সবাইকে সতর্ক করে দিয়েছেন মন্ত্রী।

মঙ্গলবার মতিঝিলে বিআরটিসি কার্যালয়ে কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময়ে এ নির্দেশনা দেন।

এ সময় বিআরটিসিতে নতুন গাড়ি আনার কিছু দিনের মধ্যে সেগুলো জরাজীর্ণ হওয়া নিয়েও হতাশা প্রকাশ করেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, বিআরটিসির খুব-একটা সুনাম নেই। এখানে দীর্ঘদিন ধরে অনিয়ম-দুর্নীতির জঞ্জাল বাসা বেঁধে আছে।

ভারত থেকে বিআরটিসির জন্য ৬০০ বাস ও ৫০০ ট্রাক আনা হচ্ছে। নতুন গাড়ি আসাটা জনগণের জন্য স্বস্তির খবর হলেও বিআরটিসির কর্মকাণ্ডের জন্য আশাবাদী হতে পারছেন না মন্ত্রী।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘নতুন গাড়ি আসছে, মানুষ স্বস্তি পাবে। কিন্তু এই গাড়িগুলো কত দিন টিকবে- তা নিয়ে আমার প্রশ্ন আছে।’

মন্ত্রী বলেন, এর আগেও গাড়ি এসেছে। এসব গাড়ি মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে ভীষণ বাজে অবস্থা। সিটের ছাল-বাকল উঠে গেছে। এসি কাজ করে না। বাইরে থেকে গাড়ির দিকে তাকানো যায় না। নোংরা ময়লা আবর্জনা। গাড়ি আসবে গাড়ির কোনো যত্ন নেই, কয়দিন পরে ডাম্পিং হয়ে যাবে।

তিনি হতাশা ব্যক্ত করে বলেন, ‘অত্যাধুনিক গাড়ি আসবে, কিন্তু কিছু দিন পরে দেখা গেল এই গাড়ি জরাজীর্ণ হয়ে গেছে।’

বিআরটিসির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সতর্ক করে মন্ত্রী বলেন, যারা বিভিন্ন জায়গায় দায়িত্বে আছেন, কার কত ইনকাম আমি ভালো করে জানি। কীভাবে ইনকাম হয় তাও জানি।

আগামী এপ্রিলের মধ্যেই ১১০০ নতুন গাড়ি বিআরটিসিতে যুক্ত হচ্ছে জানিয়ে সড়ক পরিবহনমন্ত্রী বলেন, ‘এসব গাড়ির মধ্যে ৩০০ দ্বিতল ও ৩০০ সিঙ্গেল ডেক বাস রয়েছে। বাসের মধ্যে ২০০ এসি ও ১০০ নন-এসি আসবে। আর ৫০০টি ট্রাক আসবে।’

কোটি কোটি টাকা খরচ করে বিদেশ থেকে গাড়ি আনায় দেশের মানুষ কী সুফল পায়- তা ভেবে দেখার সময় হয়েছে, যোগ করেন ওবায়দুল কাদের।