জিম্বাবুয়েকে হারিয়ে বাংলাদেশের নতুন রেকর্ড

প্রকাশিত: ৩:১৪ পূর্বাহ্ণ, মার্চ ২, ২০২০

৩২১ রান করার পরই জয় অনেকটা নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশের। বাকি ছিল শুধু আনুষ্ঠানিকতা। বোলারদের সাঁড়াসি আক্রমণের মুখে সেই আনুষ্ঠানিকতাও সম্পন্ন হলো। ১৬৯ রানের বিশাল ব্যবধানে সফরকারী জিম্বাবুয়েকে হারিয়ে সিরিজে এগিয়ে গেলো বাংলাদেশ।

টস জিতে ব্যাট করতে নেমে লিটন দাসের অসাধারণ সেঞ্চুরি, মোহাম্মদ মিঠুনের হাফ সেঞ্চুরি এবং শেষ মুহূর্তে সাইফউদ্দিনের ঝড়ো ব্যাটিংয়ের ওপর ভর করে ৩২১ রানের বিশাল স্কোর গড়ে তোলে বাংলাদেশ।

 

জবাব দিতে নেমে জিম্বাবুইয়নাদের ওপর শুরু থেকেই বিধ্বংসী বোলিং করতে শুরু করেন সাইফউদ্দিন। তার সঙ্গে যোগ দেন মেহেদী হাসান মিরাজ, মাশরাফি, মোস্তাফিজ এবং তাইজুলরা। এদের বিধ্বংসী বোলিংয়ের মুখে ৩৯.১ ওভারেই ১৫২ রানে অলআউট হয়ে যায় জিম্বাবুয়ে।

সাইফউদ্দিন সর্বোচ্চ ৩ উইকেট সংগ্রহ করেন। ৭ ওভার বল করে মাত্র ২২ রান দেন তিনি। এছাড়া ৮ ওভারে ৩৩ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন মেহেদী হাসান মিরাজ, ৬.১ ওভার বল করে মাশরাফিও নেন ২ উইকেট। মোস্তাফিজ এবং তাইজুল নেন ১টি করে উইকেট।

৩২২ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নামার পর শুরুতেই সাইফউদ্দিনের বিধ্বংসী বোলিংয়ের শিকার জিম্বাবুয়ে। মোস্তাফিজ ইনিংসের সূচনা করেছিলেন এক প্রান্ত থেকে। অন্য প্রান্তে সূচনা করেন সাইফউদ্দিন। নিজের প্রথম ওভারেই জিম্বাবুয়ে ওপেনার তিনাশে কামুনহুকামোয়াকে সরাসরি বোল্ড করে ফিরিয়ে দেন সাজঘরে। ১০ বল খেলে ১ রান করে দলীয় ১ রানেই সাজঘরের পথ ধরেন তিনাশে।

এরপর চামু চিভাবা এবং রেগিস চাকাভা মিলে ইনিংস গড়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু সাইফউদ্দিনের আরো একটি আঘাতে ভাঙে এই জুটি। ১১ রান করে ফিরে যান রেগিস চাকাভা। চামু চিভাবার উইকেট দিয়ে দীর্ঘ সময় পর উইকেটের দেখা পেলেন মাশরাফি। একই সঙ্গে সব সমালোচনারও জবাব দেন তিনি।

 

ব্রেন্ডন টেলর মাঠে নামার পর তাকে দাঁড়াতে দেননি তাইজুল ইসলাম। ১৫ বলে ৮ রান করে তাইজুলের বলে বোল্ড হয়ে যান টেলর। মিডল অর্ডারে ওয়েসলি মাদভিরে কিছুটা প্রতিরোধের চেষ্টা করেন। ৪৪ বল খেলে তিনি করেন সর্বোচ্চ ৩৫ রান। তার উইকেট তুলে নেন মেহেদী হাসান মিরাজ। সে সঙ্গে জিম্বাবুয়ের আশারও সমাপ্তি ঘটে।

সিকান্দার রাজা করেন ১৮ রান। সিকান্দারের উইকেট তুলে নেন মোস্তাফিজুর রহমান। রিচমন্ড মুতুম্বামি ১৭ রান করে রানআউট হয়ে যান। এরপর ডোনাল্ড তিরিপানো ২ রানে, চার্ল মুম্বা ১৩ রান করে আউট হন মিরাজ এবং সাইফউদ্দিনের বলে। সর্বশেষ ৪০তম ওভারের প্রথম বলে মুতোমবদজির উইকেট তুলে নিয়ে বাংলাদেশকে জয় উপহার দেন মাশরাফি।