জানাজায় ঢল আটকানোর মতো পরিস্থিতি ছিল না

প্রকাশিত: ১:৫০ পূর্বাহ্ণ, এপ্রিল ১৯, ২০২০

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মাওলানা জুবায়ের আহমেদ আনসারীর জানাজায় মানুষের যে ঢল, তা আটকানোর মতো পরিস্থিতি ছিল না বলে জানিয়েছেন সরকারের জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।

তিনি বলেন, মানুষ বোধসম্পন্ন হলে বোঝানো সম্ভব। বোধহারা হলে কিছুই করার নেই। প্রশাসন চেষ্টা করেছে। কিন্তু জানাজায় শরিক হওয়া থেকে মানুষকে নিভৃত করা সম্ভব হয়নি।

 

গোটা দেশকে যেদিন করোনার ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হয়ছে, ঠিক তার পরের দিনই ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মাওলানা জুবায়েরের জানাজায় হাজার হাজার মানুষকে শরিক হতে দেখা যায়। লকডাউন উপেক্ষা করে এত মানুষের সমাগম করোনা ঝুঁকি বাড়াবে বলে সমালোচনা হচ্ছে সর্বমহলে। জানাজার ছবি ভাইরালসহ সমালোচনা হচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও। এমন পরিস্থিতিতে অনেকে প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন।

জানাজায় মানুষের সমাগম এবং প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে মতামত জানতে চাওয়া হয় জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেনের কাছে।

তিনি বলেন, ‘মাওলানা জুবায়ের আহমেদ আনসারীর জানাজায় মানুষের অংশগ্রহণ সীমিত রাখার চেষ্টা করা হয়েছিল। এমনকি সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে যোগাযোগও করা হয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে। কিন্তু কাজ হয়নি। জুবায়ের সাহেব একটি ইসলামিক দলের কেন্দ্রীয় নেতা ছিলেন। অগণতি ভক্ত, অনুসারী রয়েছে তার। দূর-দূরান্ত থেকেও ভক্তরা শরিক হয় জানাজায়।’

প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে জানতে চাইলে ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘ডিসি বা এসপি অফিসে কতজনই আর জনবল থাকে! জানাজায় শরিক হওয়া মানুষের তুলনায় এই জনবল কিছুই না। করোনাকালীন পরিস্থিতি নিয়ে বোঝানোর চেষ্টা করা হয়েছে তাদের। মানুষ গুরুত্ব দেয়নি। এমন জায়গায় শক্তি প্রয়োগের উপায় থাকে না। ধর্মীয় স্পর্শকাতর বিষয়ে জোর করলে হিতে বিপরীত হতে পারে বলে প্রশাসন শক্তি প্রয়োগ করেনি। পাশের দেশ ভারতেও শক্তি প্রয়োগ করা হচ্ছে। আমরা পারছি না। পারছি না নানা কারণেই।’

এ পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ কী- এমন প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সরকার সর্বাত্মক চেষ্টা করছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে। করোনার ক্ষতি এখনও ব্যাপক আকার ধারণ করেনি বাংলাদেশে। তবে সরকারের একার পক্ষে পরিস্থিতি সামাল দেয়া সম্ভব নয়। মানুষ সচেতন হলে আমরা এই কঠিন সময় অবশ্যই কাটিয়ে ওঠতে পারব। নইলে পরিস্থিতির অবনতি হবে।’