চাঁদপুরে ব্শ্বিবিদ্যালয়ের জমি ক্রয়ে অনিয়ম, সত্যতা পেয়েছে দুদক

প্রকাশিত: ১২:৩৭ পূর্বাহ্ণ, এপ্রিল ৭, ২০২২
চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ব্শ্বিবিদ্যালয়ের জন্য জমি অধিগ্রহণে অনিয়ম তদন্তে দুদক

চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ব্শ্বিবিদ্যালয়ের জন্য জমি অধিগ্রহণে অনিয়মের সত্যতা পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বুধবার (৬ এপ্রিল) দুদক জনসংযোগ সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানিয়েছে, চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ব্শ্বিবিদ্যালয়ের জন্য জমি অধিগ্রহণে সুকৌশলে জমির মূল্য প্রায় ২০ গুণ বেশি দেখিয়ে সরকারের প্রায় ৩৬০ কোটি টাকা আর্থিক ক্ষতি, মেঘনা নদীতে নির্বিচারে ও অননুমোদিতভাবে বালু উত্তোলন করে পরিবেশ ও প্রাণবৈচিত্রের অপরিসীম ক্ষতি এবং অবৈধ বালু ব্যবসার মাধ্যমে সরকারের বিপুল রাজস্ব ক্ষতির অভিযোগ অনুসন্ধানে অভিযান চালিয়েছে দুদক।

বুধবার এসব অভিযোগের অনুসন্ধান ও বিভিন্ন দুর্নীতির মাধ্যমে অগাধ সম্পত্তি অর্জন বিষয়ে চাঁদপুরের লক্ষীপুরের ইউপি চেয়ারম্যান সেলিম খানের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ যাচাইয়ে দুদক, সজেকা, কুমিল্লা’র সহকারী পরিচালক রাফী মো. নাজমুস সা’দাৎ এর নেতৃত্বে এনফোর্সমেন্ট টিম অভিযান চালায়।

এর আগে গত ৪ এপ্রিল এসব দুর্নীতিতে জড়িত থাকায় ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে চাঁদপুরের লক্ষীপুরের ইউপি চেয়ারম্যান সেলিম খানের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে নামে দুদক।

জানা যায়, অভিযানকালে দুদকের টিম চাঁদপুর সদর উপজেলার লক্ষীপুর মৌজায় চাঁদপুর-হাইমচর সড়কের পাশে মেঘনা নদী থেকে ৮০০ মিটার দূরত্বের মধ্যে চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ব্শ্বিবিদ্যালয়ের জন্য প্রস্তাবিত জমি সরেজমিন পরিদর্শন করে।

দুদক টিম, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, জেলা রেজিস্ট্রারের কার্যালয়, বিআইডব্লিউটিএ ও জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন থেকে অভিযোগ সম্পর্কিত রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করে। টিমের সংগৃহীত রেকর্ডপত্রে চাঁদপুর জেলার পদ্মা-মেঘনা নদী অংশে অপরিকল্পিতভাবে বালু উত্তোলনের ফলে প্রকৃতি-পরিবেশ বিনষ্টসহ রাজস্ব ক্ষতি এবং প্রস্তাবিত ব্শ্বিবিদ্যালয়ের জমি অধিগ্রহণে সরকারের বিরাট অঙ্কের অর্থ লুটপাটের দূরভিসন্ধি সম্পর্কে আনীত অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে বলে দুদক জানায়। এ বিষয়ে জড়িত ব্যক্তিবর্গের বিরুদ্ধে শিগগিরই কমিশনের নিকট বিস্তারিত প্রতিবেদন দাখিল করবে দুদক টিম।

দুদক এনফোর্সমেন্ট টিম বুধবার ১৩টি অভিযোগের বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়। যার মধ্যে ৩টি অভিযান রয়েছে।