ঘুষের প্রস্তাব দেয়া পুলিশের সেই যুগ্ম কমিশনারকে বদলি

প্রকাশিত: ২:৩৭ অপরাহ্ণ, জুন ৯, ২০২০

ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলামকে ‘পার্সেন্টেজ (সুবিধা) গ্রহণের প্রস্তাব’ দেওয়া ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার (লজিস্টিকস) মো. ইমাম হোসেনসহ পুলিশের তিন কর্মকর্তাকে বদলি করা হয়েছে।

গত ৩০ মে ডিএমপি কমিশনারের পক্ষ থেকে পুলিশ সদর দফতরে পাঠানো এক চিঠিতে বদলির সুপারিশ করার মাত্র ১০ দিনের মাথায় ইমাম হোসেনকে যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (পিওএম) হিসেবে বদলি করা হলো।

 

মঙ্গলবার (৯ জুন) ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার মোহাঃ শফিকুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে যুগ্ম পুলিশ কমিশনার পদমর্যাদার তিন কর্মকর্তাকে বদলি করা হয়।

বদলিকৃত বাকি দুই কর্মকর্তা হচ্ছেন, ঢাকা মহানগর পুলিশের যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (পিওএম) অতিরিক্ত দায়িত্বে যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (প্রটেকশন অ্যান্ড ডিপ্লোম্যাটিক সিকিউরিটি) মোহাঃ আবদুল মালেককে প্রটেকশন অ্যান্ড ডিপ্লোম্যাটিক সিকিউরিটি বিভাগে এবং যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (ট্রান্সপোর্ট) মঈনুল হককে যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (লজিস্টিকস্) হিসেবে অতিরিক্ত দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে।

এখানে উল্লেখ্য যে, ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলামকে ‘পার্সেন্টেজ (সুবিধা) গ্রহণের প্রস্তাব’ দেয়া ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার (লজিস্টিকস) মো. ইমাম হোসেনকে বদলির জন্য গত ৩০ মে পুলিশ সদর দফতরে আইজিপি বরাবর একটি চিঠি দেওয়া হয়।

আইজিপির উদ্দেশ্যে লেখা চিঠিতে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘উপর্যুক্ত বিষয়ে জানানো যাচ্ছে যে, ডিএমপির যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (লজিস্টিকস) মো. ইমাম হোসেন একজন দুর্নীতিপরায়ণ কর্মকর্তা। ডিএমপির বিভিন্ন কেনাকাটায় তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে। তদুপরি তিনি ডিএমপির কেনাকাটায় স্বয়ং পুলিশ কমিশনারের কাছে পার্সেন্টেজ গ্রহণের প্রস্তাব উপস্থাপন করেছেন। ফলে ওই কর্মকর্তাকে ডিএমপিতে কর্মরত রাখা সমীচীন নয় মর্মে প্রতীয়মান হয়েছে।

এমতাবস্থায় তাকে জরুরি ভিত্তিতে অন্যত্র বদলি করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করা হলো।’

আইজিপির পাশাপাশি চিঠিতে পুলিশ সদর দফতরের ডিআইজিরও (অ্যাডমিন অ্যান্ড ডিসিপ্লিন) দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে।

২০১২ সালে ডিএমপি’র তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার হিসেবে যোগ দেন ইমাম হোসেন। পরবর্তী সময়ে ডিএমপির উপ-কমিশনার (ডিসি-অর্থ) ও ডিসি-লজিস্টিকস পদে দায়িত্ব পালন করেন।