খাদ্য-কৃষি পণ্য বিক্রি-পরিবহনে বাধা দূর হবে শিগগিরই : সচিব

প্রকাশিত: ১:৪৭ পূর্বাহ্ণ, মার্চ ২৭, ২০২০

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে ২৬ মার্চ থেকে ৪ মার্চ পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার। কিন্তু সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বন্ধের আওতার বাইরে থাকলেও খাদ্য ও কৃষি পণ্য উৎপাদন, পরিবহন ও বিক্রিতে দেশের বিভিন্ন স্থানে বাধা দেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

তবে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বিভিন্ন স্থানে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে সরকারের নির্দেশনাটি এখনও সঠিকভাবে পৌঁছায়নি। এজন্য শুরুতে খানিকটা সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে।

 

কৃষি সচিব জানিয়েছেন, এ বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসনের কাছে নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে। শিগগিরই এ ক্ষেত্রে কোনো বাধা থাকবে না।

বাংলাদেশ অ্যাগ্রো প্রসেসরস অ্যাসোসিয়েশনের (বাপা) মহাসচিব মো. ইকতাদুল হক বলেন, ‘সরকারি সিদ্ধান্ত হচ্ছে গণপরিবহন বন্ধ থাকবে, পণ্য পরিবহনে কোনো প্রতিবন্ধকতা থাকবে না। কিন্তু স্থানীয়ভাবে বাজারজাতকারীদের কাছ থেকে আমরা অভিযোগ পাচ্ছি বাধা দেয়া হচ্ছে। যেভাবে আমরা বাধা পাচ্ছি সেখানে সরকারি সার্কুলারগুলো দেখাচ্ছি।’

তিনি বলেন, ‘আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী না বোঝার কারণে মূলত এটা হচ্ছে বলে মনে করছি। আবার কারো কারো ‘ইল মোটিভ’ থাকলেও থাকতে পারে। কোনো সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের আগে বাস্তবায়নকারী কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি আগে ভালভাবে বুঝাতে হবে। এতে মানুষ হয়রানির শিকার হবে না।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কৃষি সচিব মো. নাসিরুজ্জামান বলেন, ‘প্রথম দিনতো এজন্য একটু সমস্যা হচ্ছে। আমরা শুনেছি সারের দোকানের ক্ষেত্রে সমস্যা হচ্ছে, খুলতে দিচ্ছে না। কমিউনিকেশনে একটু ত্রুটি থাকতে পারে। আমার ধারণা এটা শিগগিরই আজকে ও কালকের মধ্যে এটা ঠিক হয়ে যাবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা ইতোমধ্যে চিঠি ইস্যু করেছি। ডিসিদের কাছে চিঠি দেয়া হয়েছে। পৌঁছাতেওতো একটু সময় লাগে। মেসেজটা হয়তো এখনও স্থানীয় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে পৌঁছায়নি। আশা করছি কমিউনিকেশন গ্যাপটা কালকের মধ্যে দূর হয়ে যাবে। এরপরও যাদের সমস্যা হবে, আমাদের সঙ্গে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবে।’