কাশ্মীরে স্বাধীনতাকামীদের মদদ, জামায়াত নেতাকর্মীদের বাড়িঘর সিলগালা

প্রকাশিত: ৪:২১ অপরাহ্ণ, মার্চ ২, ২০১৯

দেশবিরোধী কাজে জড়িত থাকা ও স্বাধীনতাকামীদের মদদ দেয়ার অভিযোগে জামায়াতে ইসলামী জম্মু-কাশ্মীর শাখাকে নিষিদ্ধ করেছে ভারত সরকার।

এর একদিন পর কাশ্মীরের জেলা প্রশাসকের নির্দেশে জামায়াতে ইসলামীর বেশকিছু কর্মী ও দলীয় নেতার বাড়ি সিল করে দেওয়া হয়েছে।

গত বৃহস্পতিবার ভারতের বেআইনি কার্যকলাপ (প্রতিরোধ) আইন ১৯৬৭-এর আওতায় আগামী ৫ বছরের জন্য দলটির ওই শাখাকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

এক বিজ্ঞপ্তিতে এই নিষেধাজ্ঞা ২০২৪ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বহাল থাকবে বলে জানায় তারা।

প্রধানমন্ত্রী মোদির সভাপতিত্বে বৃহস্পতিবারের এক বৈঠকে জঙ্গি সংগঠনগুলোর সঙ্গে জামায়াতে ইসলামীর নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে বলে জানানো হয়।

কাশ্মীরে জামায়াতে ইসলামীর ওই শাখাটি সন্ত্রাসবাদ এবং চরমপন্থা উসকে দিয়ে চলেছে অভিযোগ আনা হয়।

তবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এমন সিদ্ধান্তে মোটেই খুশি নয় কাশ্মীরের দুটি প্রধান দল-পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টি এবং ন্যাশনাল কনফারেন্স।

পুলাওয়ামা ও পাক-ভারত দ্বন্দ্বে কেন জামায়াতে ইসলামীকে টানা হচ্ছে এমন প্রশ্ন তুলেছেন পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রধান ও সাবেক মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি।

তিনি বলেন, জামায়াতকে নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার এতো অস্বস্তিতে কেন রয়েছে সেটাই বুঝতে পারছি না।

জম্মু কাশ্মীরে জামায়াতে ইসলামী ভারতের হয়ে নিরলসভাবে কাজ করছে জানিয়ে কাশ্মীরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী আরো বলেন, যে সংগঠন নিরলসভাবে কাশ্মীরের জন্যে কাজ করছে আজ তাদেরকেই নিষিদ্ধ করা হলো!

এসময় মেহবুবা বলেন, যখন চরমপন্থী হিন্দু সংগঠনগুলো দিনের পর দিন মিথ্যা ও ভুল খবর ছড়ায়, তখন কেন কেন্দ্র থেকে কোনোরুপ ব্যবস্থা নেয়া হয় না?

প্রসঙ্গত, গত ১৪ ফেব্রুয়ারি জইশ-ই-মোহাম্মদের আত্মঘাতী বোমা হামলায় সিআরপিএফের ৪৪ সেনা নিহতের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে পর্যালোচনার পর দলটিকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম।

পুলাওয়ামা ঘটনার পর সংগঠনটির ১৫০ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জম্মু ও কাশ্মীরের জামায়াতে ইসলামীর বর্তমান আমির আবদুল হামিদ ফয়াজ।