করোনা আক্রান্তে চীনকে ছাড়িয়ে গেল বাংলাদেশ

প্রকাশিত: ১:০৭ পূর্বাহ্ণ, জুন ১৪, ২০২০

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে আরও ২ হাজার ৮৫৬ জনের দেহে কোভিড-১৯ এর উপস্থিতি শনাক্ত হওয়ার পর বিশ্বের শীর্ষ করোনা সংক্রমিত দেশগুলোর তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান এখন ১৮তম। একইসঙ্গে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্তে ভাইরাসটির উৎপত্তিস্থল চীনকে ছাড়িয়ে গেল বাংলাদেশ।

গত দিন একই সময়ে দেশের আরও ৪৪ জন কোভিড-১৯ আক্রান্ত মানুষ মারা গেছেন। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের নিয়মিত অনলাইন ব্রিফিংয়ে শনিবার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, দেশে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে ৮৪ হাজার ৩৭৯ জনের। মৃত্যু হয়েছে ১ হাজার ১৩৯ জনের।

 

ওয়ার্ল্ডোমিটারস ডট ইনফোর সবশেষ পরিসংখ্যান বলছে, গত ডিসেম্বরের শেষে চীনের মধ্যাঞ্চলীয় হুবেই প্রদেশে ভাইরাসটির প্রাদুর্ভাব শুরুর পর দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৮৩ হাজার ৭৫ মহামারি নভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন। এছাড়া দেশটিতে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৪ হাজার ৬৩৪ জনের।

গত ৮ মার্চ দেশে প্রথম সংক্রমিত ব্যক্তি শনাক্তের ঘোষণার পর ৮ এপ্রিল শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ছিল ২১৮ জন। এরপর ৮ মে এই সংখ্যা গিয়ে দাঁড়ায় ১৩ হাজার ১৩৪ জনে। এরপর গত ৮ জুন এই সংখ্যাটা ছিল ৬৮ হাজার ৫০৪ জন। আর আজ তা ৮৪ হাজার ৩৭৯ জনে দাঁড়িয়েছে।

দেশে ৮ মার্চ করোনা শনাক্ত হওয়ার ১০ দিন পর ১৮ মার্চ প্রথম মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। পরের ৬৯তম দিনে ৫০০ ছাড়ায় দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা। আর এরপর মাত্র ১৬ দিনেই মারা গেছেন ৫১১ জন। আর আজ ১৩ জুন মৃতের সংখ্যাটা এসে ঠেকেছে ১ হাজার ১৩৯ জনে।

করোনা সংক্রমিত দেশের তালিকায় শীর্ষে যুক্তরাষ্ট্র। দ্বিতীয় অবস্থানটি ব্রাজিলের। তালিকার পরের ৮টি দেশ যথাক্রমে রাশিয়া, যুক্তরাজ্য, স্পেন, ভারত, ইতালি, পেরু, জার্মানি ও ইরান। দশম থেকে বিশতম স্থানে রয়েছে তুরস্ক, ফ্রান্স, চিলি, মেক্সিকো, পাকিস্তান, সৌদি আরব, কানাডা, বাংলাদেশ ও চীন।

দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছে ভারতে। শীর্ষ আক্রান্ত দেশগুলোর তালিকায় ভারতের অবস্থান এখন চতুর্থ। দেশটিতে ৩ লাখ ৯ হাজারের বেশি শনাক্ত রোগী রয়েছে এখন। এদিকে ১ লাখ ৩২ হাজারের বেশি শনাক্ত রোগী নিয়ে পাকিস্তান আছে ১৫তম অবস্থানে।

দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশের অবস্থান তৃতীয়। প্রতিদিনই এখানে আক্রান্ত-মৃত্যু আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে। এছাড়া প্রতিদিন আক্রান্ত মৃত্যুতে আগের রেকর্ড ভাঙছে দেশে। গত ৩১ মে এর পর সাধারণ ছুটির মেয়াদ আর বাড়ানো হয়নি তবে সংক্রমণ বিবেচনায় দেশকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে।