করোনায় থামেনি বিয়ে, কমেছে বিবাহ বিচ্ছেদ

পারভেজ দেওয়ান পারভেজ দেওয়ান

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১১:০০ অপরাহ্ণ, জুলাই ১৫, ২০২০

করোনার প্রভাবে বিপর্যস্ত পুরো বিশ্ব। থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে পৃথিবীর প্রায় সব দেশেই।কোন কোন দেশ বিপর্যয় কাটিয়ে উঠলেও বেশির ভাগ দেশেই কোরোনা মহামারি আকার ধারণ করেছে।করোনা ভাইরাস প্রথম চীন থেকে ছড়ায়।

প্রাথমিক ভাবে করোনাকে মোকাবেলা করার জন্য সকল ধরনের সামাজিক, পারিবারিক, ধর্মীয় সভা সমাবেশ নিষিদ্ধ থাকলেও আস্তে আস্তে বিভিন্ন পারিবারিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হচ্ছে। করোনার প্রভাবে প্রথম দিকে সকল বিয়ের অনুষ্ঠান বন্ধ থাকলেও, সময়ের সাথে সাথে বিয়ের সংখ্যা বাড়ছে।সরকারি ভাবে সামাজিক, পারিবারিক সকল ধরনের আয়োজনের উপর নিষিদ্ধ থাকলেও অনেকেই মানছে না।

গত ৮ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও উপজেলায় এক সরকারি কর্মকর্তার বিয়ে হচ্ছে এমন খবর পেয়ে স্থানীয় প্রশাসন সেখানে অভিযান চালায়, সেখানে বরকে না পেয়ে বরের ভাইকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করে।অন্যদিকে গত ১০ এপ্রিল রাজধানী ঢাকার আমীনবাজার এলাকায় একই অপরাধের বর ও কনে পক্ষকে ৮০ হাজার টাকা জরিমানা করে প্রশাসন। রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে নিকাহ রেজিস্ট্রারদের (কাজী) সাথে কথা বলে জানা যায় করোনার প্রভাবে বিয়ের সংখ্যা কিছুটা কমলেও তা একবারে থেমে নেই।উত্তরার এক কাজীর সাথে কথা হলে তিনি জানান, করোনার পূর্বে মাসে গড়ে ৩০ থেকে ৪০ টা বিয়ে পড়াতাম। বর্তমানে এ সংখ্যা খুবই কম।

তিনি আরো বলেন করোনায় বিয়ের সংখা কম হলেও একবারে বন্ধ হয়নি।

অন্যদিকে সাম্প্রতিক সময়ে বিবাহ বিচ্ছেদর হার ব্যপকভাবে বৃদ্ধি পেলেও করোনার প্রভাবে তার হার এখন কম। ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন এ গত জানুয়ারিতে রেকর্ড পরিমাণ বিবাহ বিচ্ছেদের আবেদন থাকলেও করোনা পরবর্তী সময়ে তার হার খুবই কম। ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন এ দেখা যায় গত জানুয়ারিতে বিবাহ বিচ্ছেদের আবেদন হয় ৬১৮ টি, ফেব্রুয়ারিতে ৪৪১,মার্চে ৪৫৫, এপ্রিলে সব ধরনের অফিস বন্ধ থাকায় আবেদন পরেনি।সাধারণ ছুটি পরবর্তী সময়ে মে মাসে ৫৪ টি আবেদন পরে,আর জুনে আবেদন পরে রেকর্ড ৬৩২ টি। অন্যদিকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন এ দেখা যায় এ বছরের জানুয়ারি আবেদন পরে ৫২৮ টি, ফেব্রুয়ারিতে ৪৪১,মার্চে ৪৫৫,এপ্রিলে কোন আবেদন পরেনি।মে মাসে ১১৩ টি, আর জুনে ৪৪ টি আবেদন পরে।

উল্লেখ্য, আবেদনকারীর বেশিরভাগই নারী। বিশেষজ্ঞগন করোনার প্রভাবে মানুষ আর্থিক ও সামাজিক চাপের মধ্যে আছে।যার ফলে অনেকেই এ অবস্থায় নিজেকে মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে।যা ইতিবাচক ও পারিবারিক বোঝাপড়ার জন্য খুবই ভালো।