আগামী মাসেই শুরু হচ্ছে প্রবাসী ভোটার কার্যক্রম

প্রকাশিত: ৪:২৫ পূর্বাহ্ণ, আগস্ট ২৮, ২০১৯

সেপ্টেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকেই (আগামী মাসে) প্রবাসী বাংলাদেশিদের সংশ্লিষ্ট দেশে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) বা স্মার্টকার্ড সরবরাহে ভোটার করার প্রক্রিয়া শুরু করতে চায় ইসি। মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব মো. আলমগীর নির্বাচন ভবনের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, আমরা আমাদের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি। এখন কেবল সিঙ্গাপুর সরকারের অনুমোদন নেওয়া বাকি। তারা অনুমোদন দিলেই আমরা কাজ শুরু করব।

 

মো. আলমগীর বলেন, সিঙ্গাপুরে প্রবাসীদের সংখ্যা কম। কাছের দেশ। তাই এখানে পরীক্ষামূলক কার্যক্রম চালানো হবে। এরপর আমরা মধ্যপ্রাচের দিকে যাব। ইতিমধ্যে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা সৌদি আরবে এ বিষয়ে সম্ভাব্যতা যাচাই করে এসেছেন। সেখানে অবস্থিত প্রবাসী, দূতাবাসের সঙ্গে তিনি আলোচনা করেছেন। তাদের পক্ষ থেকে ব্যাপক আগ্রহের কথা জানানো হয়েছে। তিনি বলেন, আমরা আইন পরীক্ষা করে দেখেছি। কোথাও কোথাও সাংঘর্ষিক অবস্থা নেই। আমরা বৈঠকে নীতিমালা চূড়ান্ত করেছি। এজন্য আমাদের বিধিমালাও সংশোধন করতে হবে। এটা আমরা শিগগিরই করে ফেলব। সিঙ্গাপুর, মালদ্বীপ, ব্রিটেন, সৌদি আরবে ইতিমধ্যে সম্ভাব্যতা যাচাই শেষ হয়েছে।

ইসির এনআইডি অনুবিভাগের পরিচালক (অপারেশন্স) মো. আবদুল বাতেন জানিয়েছেন, প্রবাসীদের এনআইডি দেওয়ার জন্য অনলাইনে আবেদন নেওয়া হবে। যারা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন না, তারা সংশ্লিষ্ট দূতাবাসে বসানো ডেস্ক থেকে এ সংক্রান্ত সহায়তা পাবেন। নীতিমালা হয়ে গেলেই এ কার্যক্রম শুরু করা হবে।

ইসি থেকে কেবল ছায়া কপি পাবে আইসিটি বিভাগ

নাগরিকদের পরিচিতি সহজে পেতে সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ (আইসিটি) ‘পরিচয়’ নামে নতুন একটি অ্যাপ চালু করেছে। যার মাধ্যমে নির্বাচন কমিশনের তথ্য ভান্ডারের তথ্য যাচাই করা যাবে। তবে এটা হবে কেবল ছায়া কপি। ইসি সচিব মো. আলমগীর বলেন, আইসিটি বিভাগ আমাদের তথ্যভান্ডারের কানেক্টিভিটি চায়। এটা অনুমোদন হয়েছে। কিছু টেকনিক্যাল বিষয় আছে, যা পরবর্তীতে বাস্তবায়ন করা হবে।

 

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, তথ্যভান্ডারের নিরাপত্তা নিয়ে কোনো সমস্যা নেই। কেননা আমরা তাদের কেবল ‘মিরর কপি’ দেব। এতে তারা আমাদের তথ্যভান্ডারের নিরাপত্তা ভেদ করে প্রবেশ করতে পারবে না। নাগরিকের তথ্য কেবল রিড করা যাবে।

২০০৮ সালের নির্বাচনের পূর্বে ছবিযুক্ত ভোটার তালিকা প্রণয়ন করে এটিএম শামসুল হুদার নেতৃত্বাধীন কমিশন। সেই ভোটার তালিকা থেকেই পরবর্তীতে নাগরিকের জাতীয় পরিচয়পত্র সরবরাহ করছে ইসি। বর্তমানে ইসির তথ্যভান্ডারে ১০ কোটি ৪৮ লাখ নাগরিকের তথ্য আছে। গতকাল বিকাল ৩টায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কমিশন সভায় চার কমিশনার, ইসি সচিবসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।