অগ্নিদুর্ঘটনা এড়াতে জাতীয় কমিশন গঠনের দাবি ড. কামালের

প্রকাশিত: ১২:৩০ অপরাহ্ণ, মার্চ ২৯, ২০১৯

আগুন লাগা রাজধানীর বনানীর বহুতল ভবন এফআর টাওয়ার পরিদর্শন করেছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন।সেখানে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বহুতল ভবন তৈরিতে প্রয়োজনীয় আইন মানা হচ্ছে কিনা এবং এসব ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটলে করণীয় নির্ধারণ করতে জাতীয় কমিশন গঠনের দাবি জানিয়েছেন তিনি।

শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে এফআর টাওয়ারে যান ড. কামাল। তিনি এ সময় ভবনটি ঘুরে দেখেন।

এ সময় ড. কামাল বলেন, একের পর বহুতল ভবনে মারাত্মক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটছে। এসব ঘটনা এড়াতে সরকারের কাছে আমি জাতীয় কমিশন গঠনের দাবি জানাচ্ছি।এই কমিশনে ইমারত বিশেষজ্ঞসহ সংশ্লিষ্টদের রাখতে হবে। সুনির্দিষ্টভাবে তদন্ত করে অপরাধীদের বের করতে হবে। এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি এড়াতে হবে।

কমিটির বিষয়ে তিনি বলেন, সরকার যে কমিটি তৈরি করবে এতে যেন ইঞ্জিনিয়ার ও বড় মাপের স্থপতি থাকেন। তারা পরামর্শ দেবেন কীভাবে বিল্ডিং তৈরি করার সময় ফায়ার এক্সিট থাকতে হবে। এছাড়া এখন যে বিল্ডিংগুলো আছে সেগুলোর বর্তমান অবস্থাও তারা মূল্যায়ন করবেন।

সংবিধান প্রণেতা কামাল আরও বলেন, কিভাবে মানুষ আগুন থেকে বাঁচতে ঝাপ দিয়েছে, দেখলে সহ্য করা যায় না। এই ভয়াবহ দুর্ঘটনা আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে গেল। এখন এ বিষয়ে ভালোভাবে তদন্ত হওয়া দরকার।

তিনি বলেন, ভবনটি নির্মাণের ক্ষেত্রে আইনের কোনো ব্যত্যয় ঘটেছে কিনা, সেটি খতিয়ে দেখতে কমিশন গঠন করা দরকার।

ড. কামাল আরও বলেন, বিল্ডিং কোড দেখতে হবে, বিল্ডিং প্ল্যান দেখতে হবে। আইনের কোনো ব্যত্যয় ঘটেছে কিনা সবই খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নিতে হবে।

গণফোরামের পদক্ষেপ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করছি, এখানেই থেমে থাকবো না। অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ভবনটির নকশায় কি ছিল, কারা কীভাবে অনুমোদন দিয়েছে, অনুমোদন দেয়ার ক্ষেত্রে চোখ বন্ধ করে দিয়েছিল নাকি বুঝে-শুনে দিয়েছে- এক্ষেত্রে যেসব প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব রয়েছে সেগুলো আমরা খতিয়ে দেখব। আপনাদের কারো কাছে কোনো তথ্য থাকলে তা আমাদের দিয়ে সহায়তা করবেন।

এসময় তিনি ভবন নির্মাণের নীতিমালা নিয়ে বলেন, বিদেশে আইন আছে ১০-১২ তলা বিল্ডিং নির্মাণ করতে হলে ফায়ার এক্সিট থাকতে হয়। কিন্তু এখানে অবাক হওয়ার মতো দুর্ঘটনা ঘটছে, মানুষ মারা গেছে, কিন্তু কোনো ফায়ার এক্সিট পয়েন্ট ছিল না।

প্রসঙ্গত এফআর টাওয়ারে বৃহস্পতিবার দুপুরে লাগা আগুনে অন্তত ২৫ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন ৭৩জন। বেশ কয়েকজনের নিখেঁাজ থাকার দাবিও করছেন স্বজনরা।