২০১৮ সালে সড়ক দুর্ঘটনা ৫,৫১৪, মারা গেছেন ৭২২১ জন

প্রকাশিত: ৪:০৩ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২৫, ২০১৯
পাঁচ হাজার ৫১৪ দুর্ঘটনায় মারা গেছেন ৭২২১ জন। ছবি: সংগৃহীত

২০১৮ সালে সারা দেশে পাঁচ হাজার ৫১৪টি সড়ক দুর্ঘটনায় সাত হাজার ২২১ জন মানুষ মারা গেছেন বলে দাবি করা হয়েছে বাংলাদেশ যাত্রীকল্যাণ সমিতির বার্ষিক প্রতিবেদনে।

বাংলাদেশ যাত্রীকল্যাণ সমিতির বার্ষিক প্রতিবেদনে।

শুক্রবার বেলা ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে সংবাদ সম্মেলনে বার্ষিক সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিবেদন-২০১৮ তুলে ধরা হয় সংগঠনটির পক্ষ থেকে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, গত বছর রেলপথে দুর্ঘটনা ঘটে ৩৭০টি। এতে মারা যান ৩৯৪ জন, আহত হন ২৪৮ জন। নৌপথে ১৫৯ দুর্ঘটনায় মারা যান ১২৬ জন, আহত হন ২৩৪ জন। এসব দুর্ঘটনায় নিখোঁজ হয়েছেন ৩৮৭ জন। ২০১৮ সালে আকাশপথে পাঁচটি দুর্ঘটনা ঘটে। এতে নিহত হন ৫৫ জন, আহত হন ৩২ জন।

এতে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ যাত্রীকল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী।

সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা বলেন, দুর্নীতির দুষ্টচক্র ও মালিক-শ্রমিকদের আইনের শাসন না মানার প্রবণতা সড়ক দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ।

কুদ্দুস আফ্রাদ বলেন, সড়কে নামলে আমরা আইনের শাসনের প্রয়োগ দেখতে পাই না। এমনকি আইনপ্রণেতারাও আইন মেনে চলছেন না। এখনও সড়কে উল্টা পথে ভিআইপিদের গাড়ি দেখা যায়। আরেকটি সমস্যা হচ্ছে- দুর্ঘটনায় আহত বা নিহতের পরিবারকে প্রায় সময়ই ক্ষতিপূরণ পরিশোধ করা হয় না। দুর্ঘটনায় রাজীবের হাত বিচ্ছিন্ন হয়ে মারা যাওয়ার পরও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্পোরেশন (বিআরটিসি) তার পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেয়নি।

এ সময় সংগঠনটি সড়ক দুর্ঘটনা রোধে ১২ দফা সুপারিশ তুলে ধরেন।

সেগুলো হলো- ট্রাফিক আইন, মোটরযান আইন ও সড়ক ব্যবহার বিধিবিধান সম্পর্কে স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়, মসজিদ, মন্দির, গির্জায় ব্যাপক প্রচারের ব্যবস্থা করা;

টিভি চ্যানেল ও সংবাদপত্রগুলোতে সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে ব্যাপক প্রচারের ব্যবস্থা করা;

জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়কের পাস থেকে হাটবাজার অপসারণ করা, ফুটপাত দখলমুক্ত করা;

রোড সাইন (ট্রাফিক চিহ্ন) স্থাপন করা, জেব্রাক্রসিং অংকন করা;

গণপরিবহন চালকদের প্রফেশনাল ট্রেনিং ও নৈতিক শিক্ষার ব্যবস্থা করা;

যাত্রী ও পথচারীবান্ধব সড়ক পরিবহন বিধি প্রণোয়ন;

গাড়ির ফিটনেস ও চালদের লাইসেন্স দেয়ার পদ্ধতি উন্নত বিশ্বের সঙ্গে তালমিলিয়ে আধুনিকায়ন করা;

জাতীয় মহাসড়কে স্বল্পগতি ও দ্রুতগতির যানের জন্য আলাদা লেনের ব্যবস্থা করা;

অনুমোদিত সড়ক পরিবহন আইন দ্রুত বাস্তবায়ন করা;

সড়ক নিরাপত্তা তহবিল গঠন করে সড়ক দুর্ঘটনায় হতাহতদের চিকিৎসা ও পনর্বাসনের ব্যবস্থা করা;

লাইসেন্স ইস্যু ও নবায়নকালে চালকের ডোপ টেস্টের ব্যবস্থা করা ও পর্যাপ্ত মানসম্মত গণপরিবহন নামানোর উদ্যোগ নেয়া।