গত ১১ জুলাই( বৃহস্পতিবার) রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে শিক্ষামন্ত্রী ডা.দীপু মনি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দের সাথে বৈঠক করেছেন।

বৈঠকের সময় ছাত্র নেতৃবৃন্দ তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের যাবতীয় সমস্যা তুলে ধরেন। উল্লেখযোগ্য সমস্যাসমূহ হলো- ছাত্র সংসদ নির্বাচন,আবাসন সমস্যা, ট্রান্সপোর্ট সমস্যা,পরীক্ষায় কোডিং সিস্টেম চালু করা, কেন্টিন সমস্যা, খাবার সমস্যা, লাইব্রেরীর সমস্যা, ইন্টারনেট ও নিরাপত্তা বিষয়ক আরো বিভিন্ন সমস্যার কথা তুলে ধরেন

আগামী ১০ দিনের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সমস্যাসমূহ লিখিতভাবে জানানোর জন্য বললেন শিক্ষামন্ত্রী।

তিনি আরো জানান,আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে উল্লেখিত সমস্যা সমাধানে বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের ভিসি, প্রো-ভিসি, ট্রেজারার, রেজিস্টার এবং উন্নয়ন কার্যক্রমের সাথে জড়িত ব্যক্তিদের নিয়ে বৈঠকে বসে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করবেন বলে আশ্বাস দেন।

শিক্ষামন্ত্রী ছাত্রলীগ নেতাদের শিক্ষাঙ্গনে স্থিতিশীলতা বজায় রাখার আহ্বান জানান। কোন রকমের সমস্যা হলে তা প্রশাসনের সাথে আলোচনা করে সমাধান করার প্রতি গুরুত্বারোপ করেন।আন্দোলন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করতে নিষেধ করেন। তিনি বলেন,শিক্ষাঙ্গনে মাদক, সন্ত্রাস, জঙ্গীবাদ ও যৌন নির্যাতন প্রতিরোধে ছাত্রলীগকে অগ্রণী ভুমিকা রাখতে হবে।

বৈঠকের এক পর্যায়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন,”বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশে শিক্ষা ক্ষেত্রে অনেক  উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। শিক্ষার গুণগত উন্নয়নে সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করছে। শিক্ষার উন্নয়নে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখা খুবই জরুরী।”

শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৈাধুরী বলেন, ছাত্র হিসেবে ছাত্রদের প্রধান কাজ হল লেখাপড়া করা এবং ঐ লেখাপড়া কাজে লাগিয়ে নিজের ক্যারিয়ার ও বাংলাদেশের অগ্রগতিতে অবদান রাখা। তিনি জানান,প্রত্যেকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব আইন আছে, এই আইনের মধ্যে থেকে সরকার বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের সমস্যা সমাধানে কাজ করবে।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন  শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৈাধুরী, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন, সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী ও সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকবৃন্দ।