হবিগঞ্জে বিআরটিসি বাসের চাপায় অটোরিকশার ৭ যাত্রী নিহত

প্রকাশিত: ৭:২৫ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ৭, ২০২০

হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলায় বাস ও দুটি সিএনজিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে মা-মেয়ে ও একই পরিবারের তিনজনসহ সাতজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ১০ জন।

সোমবার (৭ ডিসেম্বর) বিকেল পৌনে ৫টার দিকে উপজেলার গজনাইপুর ইউনিয়নের ফুলতলী বাজারের শাহ মুশকিল আহসান (র.) মাজারের কাছে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

দুই ঘণ্টাব্যাপী উদ্ধার অভিযান চলাকালে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে যানচলাচল বন্ধ থাকে।

নিহতরা হলেন- গজনাইপুর ইউনিয়নের মুরাউরা গ্রামের আবু তাহের স্ত্রী সামিরুন বেগম (২৮), তার মেয়ে মারিয়া আক্তার (২), আবু তাহেরের ভাই আনু মিয়ার স্ত্রী হালিমা বেগম (২৫), সাতাইহাল গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে অন্তর মিয়া (২২), সাতাইহাল (কাজীপাড়া) গ্রামের লিজা আক্তার (১৯), দেবপাড়া ইউনিয়নের লতিবপুর গ্রামের কিতাব আলী (৩০) ও অজ্ঞাত পুরুষ (২৬)।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কুমিল্লা থেকে সিলেটগামী বিআরটিসি পরিবহনের যাত্রীবাহী বাসের (ঢাকা-মেট্রো-ব-১১-৫৫১৮) সঙ্গে আউশকান্দি থেকে পানিউমদাগামী যাত্রীবাহী সিএনজি (হবিগঞ্জ-থ-১১-৬৭৭৭) ও অজ্ঞাত সিএনজিসহ দুটি সিএনজির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে দুটি সিএনজি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। একটি সিএনজিসহ বাস মহাসড়কের পার্শ্ববর্তী গভীর খাদে পড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলে সাতজনের মৃত্যু হয়।

এ ঘটনায় বাসের যাত্রীসহ আহত হয়েছেন ১০ জন। আহতদের সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়।

খবর পেয়ে নবীগঞ্জ থানা, শেরপুর হাইওয়ে পুলিশ, গোপলার বাজার তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ, নবীগঞ্জ ও শায়েস্তাগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিটসহ স্থানীয় জনসাধারণ উদ্ধারকাজ শুরু করে। প্রায় দুই ঘটনার চেষ্টায় সাতজনের লাশ উদ্ধার করা হয়।

শেরপুর হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এরশাদুল হক ভূঁইয়া দুর্ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এখনো উদ্ধার অভিযান চলছে।