হত্যা ষড়যন্ত্রের ফোনালাপ নিয়ে যা বললেন ড. কামাল

প্রকাশিত: ২:৩৬ পূর্বাহ্ণ, ডিসেম্বর ২৭, ২০১৮

ডেস্ক রিপোর্ট : ‘হত্যা ষড়যন্ত্র’ নিয়ে ফোনালাপকে ষড়যন্ত্রের অংশও হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন গণফোরাম সভাপতি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ড. কামাল হোসেন।

ড. কামাল গণমাধ্যমকে বলেন, অনেকেই ফোনে কথা বলেন। কে কোন উদ্দেশ্যে কথা বলেন, তার অনেক কিছুই জানার কথা নয়। মোস্তফা মহসিন মন্টুর সঙ্গে কে বা কী প্রসঙ্গে আলাপ করেছেন, তা আমার জানা নেই। ফোনের এমন আলাপ বানোয়াট বা ষড়যন্ত্রের অংশও হতে পারে। চাইলে পুলিশ এটি তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে পারে।

এ বিষয়ে মোস্তফা মহসিন মন্টু বলেন, প্রতিদিন শত শত ফোন আসে আমাদের কাছে। সাংবাদিকরাও ফোন করেন। শওকত নামের একজন ফোন দিয়ে এমন ষড়যন্ত্রের কথা বলেছিলেন।

তিনি বলেন, আমি লিডারকে (ড. কামাল) অবগত করেছি। কিন্তু সতর্ক করে দিয়ে ফোনালাপ ফাঁস করলেন, এটিই তো এখন রহস্য মনে হচ্ছে। এমন ফোনালাপ ষড়যন্ত্রের অংশও হতে পারে। পুলিশই পারে এর সত্যতা বের করতে।

এর আগে কামাল হোসেনকে নিয়ে গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফা মহসিন মন্টু এবং জনৈক শওকত নামের এক ব্যক্তি ফোনালাপ ভাইরাল হয়। ড. কামালকে তারেক রহমান হত্যার ষড়যন্ত্র করতে পারেন বলে ওই ফোন আলাপে মন্টুকে সতর্ক করে দেন ফোনের অপর প্রান্তে থাকা জনৈক শওকত।

মোস্তফা মহসিন মন্টু ও শওকতের মধ্যে ফোনালাপ:

শওকত: আসসালামু আলাইকুম

মন্টু: ওয়ালাইকুমআসসালাম।

শওকত: মন্টু ভাই, আমি শওকত বলছিলাম, বিএলএস।

মন্টু: হ্যাঁ, শওকত, কেমন আছ?

শওকত: আছি ভালো, আপনি কেমন আছেন? আমি একটা ইমপোর্ট্যান্ট খবর দেয়ার জন্য আপনাকে ফোন করলাম। আপনি ড. কামাল হোসেনকে যে কোনোভাবে নিরাপত্তা হেফাজতে নিয়ে যান। কারণ ওনার ওপরে অ্যাটেম্পটড আছে। রাজনৈতিক ফায়দা লোটার জন্য, যদি টাকাপয়সা কাজ না হয় বিএনপির, তা হলে তাদের লাস্ট চেষ্টা হবে ড. কামাল হোসেনকে হত্যা করা। ড. কামাল হোসেন বিএনপির কেউ না; বরং ওনাকে মারলে তারা রাজনৈতিক ফায়দা লুটবে।

মন্টু: হুম!

শওকত: বুঝছেন, আপনি ইমিডিয়েটলি মন্টু ভাই, যেহেতু আমরা একসঙ্গের, আমরা লন্ডন থেকে খবর পেয়েছি যে তারেক রহমানের খুবই ক্লোজড, আমাদের সিলেটি। কারণ লন্ডনে বিএনপির সব নেতাকর্মী হচ্ছেন সিলেটের এবং সে তারেক রহমানের খুব কাছের। অলরেডি দুবাই থেকে সাতজন কিলার আপনার পাকিস্তানি বাংলাদেশে ঢুকছে। এবং লাস্ট মোমেন্টে তারা চেষ্টা করবে, ইভেন ইলেকশনের আগের দিনের হলেও ড. কামাল হোসেনকে হত্যা করা।

শওকত: আপনাদের কাউকে অপমান করছেন ড. কামাল হোসেন, সেই অজুহাতে উনাকে নিয়ে আসেন। উনাকে সেফ করা হচ্ছে এখন আপনাদের দায়িত্ব।

মন্টু: উনাকে কোথায় নিয়ে যাবে?

শওকত: ওরা ধরে নিয়ে কাস্টোডিতে রাখবে। সেফ কাস্টোডিতে।

মন্টু: কাস্টোডিতে রাখবে, কাস্টোডিতে রেখে নিরাপত্তা দিলে তো…

শওকত: কারণ বাইরে উনার লাইফ…

মন্টু: উনাকে কি গ্রাউন্ডে নিয়ে যাবে?

শওকত: উনার জীবনের নিরাপত্তার জন্য, কোনো গ্রাউন্ড তো এখানে ব্যাপার না।

মন্টু: নিরাপত্তা তো জাতীয় চার নেতার জেলখানার ভেতরেও ছিল? আমাদের হেফাজতে কি মানুষ মরে না?

শওকত: তা তো মরে। কিন্তু এখন পলিটিক্যাল, রাজনৈতিক ফায়দা লোটার জন্য যদি কেউ করে এটা।

-সূত্র: যুগান্তর