সহপাঠীকে পেয়ে মুহূর্তের জন্য হারিয়ে গেলেন সেই দুরন্ত অতীতে

প্রকাশিত: ২:১৬ পূর্বাহ্ণ, জানুয়ারি ৩, ২০১৯

দুজনেই তখন ঢাকার ইডেন কলেজের শিক্ষার্থী। একজন কলেজের ছাত্র সংসদের ভিপি, অপরজন জিএস। এক ছাত্রলীগ থেকে, আরেকজন ছাত্র ইউনিয়নের। রাজনীতির আদর্শের মতভিন্নতা থাকলেও হৃদ্যতার বন্ধন ছিল অটুট।

বুধবার গণভনে আবার দেখা হলো দুজনের। জড়িয়ে ধরলেন একে অপরকে। যেন এক মুহূর্তের জন্য হারিয়ে গেলেন সেই দুরন্ত অতীতে।

প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে রাজনৈতিক নেতা, সামরিক-বেসামরিক ও বিভিন্ন পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তা, স্কাউটস, শিক্ষক, সাংবাদিক, মুক্তিযোদ্ধার সন্তানসহ বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিরা প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানাতে এসেছিলেন।

তাদের মধ্যে ছিলেন প্রফেসর নাজমা শামসও। সবাই শুভেচ্ছা জানানোর পরে উপস্থিত সবার উদ্দেশে সংক্ষিপ্ত রাখেন প্রধানমন্ত্রী। বক্তব্য শেষে শেখ হাসিনা উঠে গিয়ে কথা বলেন প্রফেসর নাজমা শামসের সঙ্গে। এ সময় তারা একে অন্যকে জড়িয়ে ধরেন।

এমন দৃশ্য নজর কাড়ে উপস্থিত সবার। এ বন্ধনের চিত্র ধারণ করতে সবকটি ক্যামেরার ফ্লাশ একসঙ্গেই জ্বলে ওঠে। উপস্থিত সকলেও তখন কিছুটা এগিয়ে গিয়ে ভিড় জমালেন। পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই খোলাসা করলেন।

জানালেন, তিনি যখন ইডেন কলেজের ছাত্র সংসদের ভিপি ছিলেন তখন প্রফেসর নাজমা শামস ছিলেন জিএস।

শেখ হাসিনা নির্বাচিত হয়েছিলেন ছাত্রলীগ থেকে, আর নাজমা শামস ছিলেন ছাত্র ইউনিয়ন থেকে। কিন্তু সম্পর্কটা ছিল খুবই আন্তরিকতায় ভরপুর। সেই সম্পর্ক এখনও আছে।

বাংলাদেশের তিনবারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নেতৃত্ব দিচ্ছেন দেশের সর্ববৃহৎ রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের। তার নেতৃত্বে হ্যাটট্রিক জয় পেয়েছে। চতুর্থবারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শিগগিরই শপথ নেবেন বঙ্গবন্ধুকন্যা।

গতিশীল ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বে যিনি তৃতীয় বিশ্বের ভঙ্গুর অর্থনীতির একটি দেশকে নিয়ে যাচ্ছেন উন্নতির শিখরে। অন্যদিকে প্রফেসর নাজমা শামস। বর্তমানে বাংলাদেশ স্কাউট গার্লস ইন স্কাউটিং ফোরাম জাতীয় কমিটির সভাপতি।