সন্তান ফিরে পেতে সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেলের পুত্রবধূর রিট

প্রকাশিত: ১১:১৮ অপরাহ্ণ, আগস্ট ১০, ২০২১

সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফের সাবেক পুত্রবধূ মাধবী আক্তার নীলা তার বড় সন্তানকে নিজের হেফাজতে নেয়ার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেছেন।

রিটের বিষয়ে মঙ্গলবার (১০ আগস্ট) হাইকোর্টের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল বেঞ্চে শুনানি হয়েছে। আদালত আগামী ১৬ আগস্ট পর্যন্ত শুনানি মুলতবি করেছেন।

আদালতে আজ রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট ফাওজিয়া করিম ফিরোজ। হাসান আরিফের ছেলে মোয়াজ আরিফের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট সাঈদ আহমেদ রাজা।

শুনানি শেষে অ্যাডভোকেট সাঈদ আহমেদ রাজা জানান, আদালত বিষয়টি পারিবারিকভাবে মিমাংসা করার জন্য উভয়পক্ষকে ১৬ আগস্ট পর্যন্ত সময় দিয়েছেন। আশা করি এর আগেই সমাধান হবে।

জানা যায়, সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফের ছেলের দুই শিশু সন্তান রয়েছে। ছোট সন্তান আগে থেকে তার মায়ের হেফাজতে আছে। বড় সন্তানটি এখনও এ এফ হাসান আরিফের ছেলের কাছে আছে।

এ অবস্থায় ৮ আগস্ট মাধবী আক্তার নীলা বড় সন্তানকেও নিজের হেফাজতে নেয়ার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন।

এরও আগে গত ১৬ জুলাই সংবাদ সম্মেলন করে মাধবী আক্তার নীলার কাছ থেকে কেড়ে নিয়ে ২ বছর বয়সী নাতনিকে কানাডা পাঠিয়ে দেওয়ার চেষ্টার অভিযোগ তোলা হয় এ এফ হাসান আরিফের বিরুদ্ধে। মিরপুরের আরামবাগে নিজ বাসভবনে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন মাধবী আক্তার নীলা।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, এ এফ হাসান আরিফের ছেলে মোয়াজ আরিফের সঙ্গে ২০১৮ সালের ৩১ মার্চ পারিবারিকভাবে আমার বিয়ে হয়। বিয়ের পর স্বামী-সন্তান নিয়ে আমি সুখেই ছিলাম। বর্তমানে আমার বড় মেয়ের বয়স দুই বছর।

সুখের সংসারে সমস্যা শুরু হয় আমার বড় সন্তানকে নিয়ে। আমার শ্বশুর ও শাশুড়ি আমার বড় মেয়েকে কানাডায় তাদের মেয়ের কাছে পাঠিয়ে দিতে চেয়েছিল। আমার ননদের কোনো সন্তান না থাকায় তারা আমার সন্তানকে কানাডা পাঠাতে চেয়েছিল। কিন্তু আমি রাজি হইনি। এরপর থেকেই আমার ওপর অত্যাচার ও নির্যাতন শুরু হয়। পরে আমাদের ডিভোর্স হয়ে যায়।