শেরপুর-১: আওয়ামী লীগ প্রার্থীর বিরুদ্ধে যত অভিযোগ ডা. প্রিয়াংকার

প্রকাশিত: ৫:৩২ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ১৮, ২০১৮
মত বিনিময় সভায় বক্তব্য রাখছেন বিএনপি প্রার্থী ডা. সানসিলা জেবরিন প্রিয়াংকা

শেরপুর প্রতিনিধি :  শেরপুর-১ (সদর) আসনের বিএনপি প্রার্থী ডা. সানসিলা জেবরিন প্রিয়াংকা অভিযোগ করেছেন, ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীর প্রত্যক্ষ মদদে বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর নিযার্তন চলছে।

তিনি আরও অভিযোগ করেন, ধানের শীষ প্রার্থীর নির্বাচন বানচাল করতে স্থানীয় আওয়ামী লীগ বিএনপির অফিস ভাংচুর, প্রচারণায় বাধাসহ প্রার্থী ও ভোটারদের নানা প্রকার ভয়ভীতি ও হুমকি দিচ্ছেন।

মঙ্গলবার দুপুরে শেরপুর শহরের মাধবপুরে বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মত বিনিময় সভায় ডা. প্রিয়াংকা এসব অভিযোগ করেন।

মতবিনিময় সভায় সাংবাদিকদের সামনে ডা. প্রিয়াংকা লিখিত বক্তব্যে বলেন, এলাকার সাধারণ মানুষের অফুরন্ত ভালোবাসা নিয়ে যখন শেরপুর -১ আসনে ধানের শীষ প্রতীক নিশ্চিত বিজয়ের দিকে যাচ্ছে ঠিক তখনি শাসক দলীয় এমপি ও হুইপ আতিক মহোদয়ের প্রত্যক্ষ মদদে আমার সমর্থকদের মাঝে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও প্রশাসনের জুলুম নির্যাতন শুরু হয়েছে।

এসময় আইনশৃংখলাবাহিনী কর্তৃক বিনা পরোয়নায় অসংখ্য বিএনপি নেতাকর্মীর গ্রেফতারের অভিযোগ করেন।

তিনি বলেন, ইতিমধ্যে আমার বিভিন্ন নির্বাচনী ক্যাম্প ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে। কোথায় পোষ্টার লাগাতে দেয়া হচ্ছে না। প্রচার মাইক ভেঙ্গে দিয়ে আমার গণসংযোগ চলাকালীন অবস্থায় নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

লিখিত বক্তব্য শেষে জনগণ যেন সুষ্ঠুভাবে ভোট প্রদান করতে পারে, ভোট গণনা যাতে সঠিকভাবে হয় এবং নেতাকর্মীদের যেন গায়েবি মামলায় গ্রেফতার করা না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখার জন্য প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ জানান প্রিয়াংকা।

এদিকে বিএনপি প্রার্থী প্রিয়াংকার সব অভিযোগ অস্বীকার করে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বর্তমান এমপি হুইপ আতিউর রহমান আতিক বলেন, আমার বিরুদ্ধে সাংবাদিকদের সামনে যে সব অভিযোগ করা হয়েছে তা মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন।

আমার দীর্ঘ রাজনৈতিক ক্যারিয়ারে প্রতিপক্ষ প্রার্থী তার কর্মী সমর্থকদের জুলুম, নির্যাতন ও হয়রানি এবং নির্বাচনী কাজে বাধা প্রদানের মত কোন কাজ আমি করিনি।

এসময় বিএনপি প্রার্থী শেরপুর সদর উপজেলার কয়টি ইউনিয়ন তাই বলতে পারেন না ও নির্বাচনী এলাকার কোনো কিছুই তিনি চেনেন না বলে মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী আতিউর রহমান আতিক।