শরীয়তপুরে বিএনপি প্রার্থীর জনসংযোগে হামলা, প্রার্থীসহ আহত ৫০

প্রকাশিত: ৯:৪৩ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ২৪, ২০১৮
হামলায় আহত বিএনপি প্রার্থী মিয়া নুরুদ্দিন আহম্মেদ অপু। ছবি: টাইমস বিডি

শরিয়তপুর প্রতিনিধি : শরীয়তপুর-৩ (ডামুড্যা-ভেদরগঞ্জ ও গোসাইরহাট) আসনের বিএনপির মনোনীত প্রার্থী বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমানের একান্ত সচিব মিয়া নুরুদ্দিন আহম্মেদ অপুর জনসংযোগে হামলা করেছে যুবলীগ ও ছাত্রলীগ। এ হামলায় ৫০ জন নেতাকর্মী আহত হন। গুরুতর আহত বিএনপির প্রার্থী মিয়া নুরুদ্দিন আহম্মেদ অপুকে চিকিৎসার জন্য হেলিকপ্টারযোগে ঢাকায় প্রেরণ করা হয়েছে। আহত অন্যদেরকে গোসাইরহাট মা ও শিশু হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।

অপর আহতরা হলেন, বাবুল ঢালি, কুদ্দুস মোল্যা, জসিম ঢালি, নাসির দেওয়ান, বাহাদুর ঢালি, জয়, আ. বাতেন, নিরব, সফিকুল ইসলাম,জসিম উদ্দিন, মুনসুর আহম্মেদ, রাসেল মৃধা, সুমন, রিপন মৃধা, সুমন গাজি, দুলাল মৃধা, খলিল ভুইয়াসহ ৫০ জন।

সোমবার দুপুরে গোসাইরহাট হেলিপ্যাডের কাছে এ হামলার ঘটনা ঘটে। আওয়ামী লীগের সভাপতি বলছেন, বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দলে কারণেই এ সংঘর্ষ হয়েছে।

আহত মিয়া নুরুদ্দিন অপুর আত্মীয় মামুন ও মনির মৃধা বলেন, সোমবার সকালে গোসাইরহাট উপজেলার কোদালপুর এলাকা থেকে নেতাকর্মীদের নিয়ে একটি মিছিল নিয়ে জনসংযোগে করতে করতে গোসাইরহাট সদরে যাওয়ার পথে গোসাইরহাট হেলিপ্যাডের কাছে যায়। দুপুর ১২টার দিকে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নামধারী লোকজন লাঠিসোঁটা নিয়ে মিছিলের ওপর অতর্কিত হামলা করে।

এ ব্যাপারে জেলা মহিলা দলের আহ্বায়ক আসমাউল হোসনা বলেন, আমরা প্রার্থীসহ মিছিল নিয়ে গোসাইরহাট হেলিপ্যাডে যাওয়ার পর আওয়ামী লীগের ক্যাডাররা অতর্কিত আমাদের ওপর হামলা চালায়। এতে আমাদের দলীয় প্রার্থী মিয়া নুরুদ্দিন অপুসহ কমপক্ষে ৫০ জন আহত হয়।

মিয়া নুরুদ্দিন অপু বলেন, আমি গোসাইরহাট সদরে নেতাকর্মী ও সমর্থকদের নিয়ে মিছিল করে যাওয়ার সময় হেলিপ্যাড পৌঁছানোমাত্র যুবলীগ ও ছাত্রলীগসহ আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা পুলিশের উপস্থিতিতে আমার মিছিলে অতর্কিত হামলা করে। এ সময় আমিসহ আমার অনেক নেতাকর্মী আহত হয়। আমি জনগণের কাছে এর বিচার চাই।

গোসাইরহাট উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহজাহান সিকদার বলেন, আমাদের কোনো নেতাকর্মীরা তাদের মিছিলে হামলা করেনি। বিএনপির আভ্যন্তরীণ কোন্দলে নিজেদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।

গোসাইরহাট থানার ওসি সেলিম রেজা বলেন, আগে থেকে আমাকে জানায়নি বিএনপির মিছিল নিয়ে যাবে। তাহলে আমরা সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতাম। আকস্মিকভাবে আওয়ামী লীগ সেখানে অবস্থান করছিল। এ সময় বিএনপি মিছিল নিয়ে গেলে দুপক্ষের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া হয়। এ সময় বিএনপি প্রার্থী আহত হয়। পুলিশের উপস্থিতিতে এ ঘটনা ঘটেনি।

গোসাইরহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন বলেন, একটা অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে। আগে রোগীর চিকিৎসা করি। তারপরে আইনানুগ ব্যবস্থা নেব। এ ব্যাপারে শরীয়তপুর-৩ আসনের এমপি নাহিম রাজ্জাককে বারবার তার মোবাইলে কল করেও তাকে পাওয়া যায়নি।