রমেকে অক্সিজেন সিলিন্ডার পাচারের অভিযোগে ৬ জন আটক

প্রকাশিত: ১০:০৬ পূর্বাহ্ণ, জুলাই ২৪, ২০২১

রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতাল থেকে অক্সিজেন সিলিন্ডার পাচারের অভিযোগে ছয় জনকে আটক করেছে পুলিশ।

অক্সিজেন সিলিন্ডার পাচারের কাজে ব্যবহৃত তিনটি ট্রাকও জব্দ করেছে পুলিশ।

রংপুরের কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রশিদ টাইমস বিডিকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এ ঘটনায় যারা আটক হয়েছেন : ট্রাকচালক দিনাজপুর সদরের জহুরুল ইসলাম, আবুল কাশেম, সুজন হোসেন, চালকের সহযোগী আশিক রায়, সাইদ হাসান, সাইফুল ইসলাম।

তিনি জানান, আটক হওয়া ৬ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রংপুর মহানগরের কোতোয়ালি থানায় নেওয়া হয়েছে।

এ ঘটনায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কোতোয়ালি থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছে।

পুলিশ ও হাসপাতাল কর্মচারীদের সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার বাদ জুমা হাসপাতালের অপিজেন সিলিন্ডার আনা-নেওয়া করার গেটে তিনটি ট্রাক আসে।

ট্রাকচালক ও সহযোগীদের জিজ্ঞাসা করা হলে তারা জানান, এ হাসপাতাল থেকে অক্সিজেন সিলিন্ডার ঢাকায় নিতে ট্রাকগুলো আনা হয়েছে। ডা. রেজাউল নামের এক ব্যক্তি এই সিলিন্ডার নিয়ে যাওয়ার জন্য ট্রাক ভাড়া করেছেন। এ ঘটনা জানার পর হাসপাতালের কর্মচারীরা পুলিশে খবর দিলে থানা পুলিশের সদস্যরা এসে তাদের আটক করছেন।

আটক ট্রাকচালক সুজন হোসেন জানান, অক্সিজেন সিলিন্ডার পরিবহনের জন্য দিনাজপুর ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়নের মাধ্যমে তিনটি ট্রাক ভাড়া করেন রেজাউল নামের এক ব্যক্তি। ৪০ হাজার টাকার বিনিময়ে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে অপিজেন সিলিন্ডার নিয়ে তা মহাখালীতে পৌঁছে দেওয়ার চুক্তি হয়।

তিনি বলেন, ‘হাসপাতালের গেটে আসার পর রেজাউল নামের ব্যক্তিকে ফোন দিলে তিনি অক্সিজেন আনা-নেওয়ার পয়েন্টে ট্রাক আনতে বলেন এবং একটি নম্বর দিয়ে সেখানে তিন হাজার টাকা পাঠাতে বলেন। আমরা টাকা পাঠানোর পর থেকে ওই নম্বরে আর যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না। যে নম্বরে টাকা পাঠানো হয়েছে, সেটিও বন্ধ রয়েছে।’

কোতোয়ালি থানার ওসি আব্দুর রশিদ বলেন, ‘করোনাকালে অপিজেনের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। এমন সময় যদি রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে অক্সিজেন পাচারের ঘটনা ঘটে থাকে, তবে জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে। এ বিষয়ে আমরা তদন্ত করে দেখছি।’

রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. রেজাউল করিম বলেন, ‘জরুরি ভিত্তিতে অক্সিজেনের প্রয়োজন হলে স্টোরকিপারের মাধ্যমে চাহিদাপত্র হাসপাতাল পরিচালক বরাবর দেওয়ার নিয়ম রয়েছে। তাই ধারণা করা হচ্ছে, অক্সিজেন সিলিন্ডার পাচারের উদ্দেশ্যে ট্রাকগুলো আনা হয়েছিল। ’