বিশ্বের যেসব রাষ্ট্রের আকাশে বাতাসে বারুদের গন্ধ পাওয়া যায়, সেখানেই ইসরায়েলের হাত রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় মহাসচিব অধ্যক্ষ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ।
মুসলমানদের প্রথম কেবলা আল আকসা মসজিদে হামলার প্রতিবাদে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ঢাকা মহানগরী আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল পূর্ব সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।
শুক্রবার (১৪ মে) বেলা ১১টায় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে এ বিক্ষোভ কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি ছিলেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় মহাসচিব অধ্যক্ষ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ। সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের ঢাকা মহানগর উত্তরে হাফেজ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ।
মুসল্লিদের ওপর বর্বর ইসরায়েলি আক্রমণ এবং ফিলিস্তিনের নারী-শিশু ও বেসামরিক মানুষ হত্যার প্রতিবাদে গণবিক্ষোভ সমাবেশের পরে শান্তিপূর্ণ মিছিল করেছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। সমাবেশ শেষে বিক্ষোভ মিছিল বায়তুল মোকাররম থেকে শুরু হয়ে শান্তিনগর শেষ হয়।
অধ্যক্ষ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেন, নামাজরত অবস্থায় বায়তুল মাকদাসে কেন তাদেরকে হত্যা করা হলো?
তিনি বলেন, আজকে যেসব রাষ্ট্রে আমরা বারুদের গন্ধ পাই তাদের আকাশে বাতাশে খুঁজে দেখবেন এর মধ্যে ষড়যন্ত্রের হাত রয়েছে ওই ইসরায়েলের।
তিনি বলেন, ইসরায়েল আজ মাথা উচু করে দাঁড়াতে চায়। আর আমরা জানি অনেক রাষ্ট্র সন্ত্রাসী খুঁজে বেড়ায় পৃথিবীতে। কোন রাষ্ট্র সন্ত্রাসী রাষ্ট্র এটা স্পষ্ট হয়ে গেছে। এই অসভ্য জাতি ইসরায়েলের পক্ষে যারা কথা বলেছে, সমর্থন দিয়েছেন তারাই সন্ত্রাসী রাষ্ট্র।
তিনি আরও বলেন, আজ শুধু ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আমাদের সংগ্রাম নয়, ওই মার্কিনসহ যারাই ওই রাষ্ট্রকে সমর্থন করে তাদের বিরুদ্ধে আমাদের সংগ্রাম চলবে, প্রতিবাদ চলবে, প্রতিরোধ চলবে। যতদিন আমাদের ভাই রাষ্ট্র শত্রু মুক্ত না হবে আমাদের সংগ্রাম চলবে।
তিনি বলেন, জাতিসংঘ হাস্যকর ভূমিকা পালন করছে। সময় হয়ে গেছে মুসলিমদের জন্য স্বতন্ত্র জাতিসংঘ তৈরি করার। অনেক মুসলমান রাষ্ট্র ইসরায়েলের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডকে সমর্থন দিচ্ছে। তাদেরকে বলতে চাই, শয়তানের পাশ থেকে সরে আসুন।
সমাবেশের সভাপতি শেখ ফজলে বারী মাসউদ বলেন, ইহুদি জাতির ইতিহাস উগ্র। এরা আমাদের নবীদেরকে শহীদ করেছে। যতদিন এদের অস্তিত্ব থাকবে ততদিন তারা নিকৃষ্ট জাতি হিসেবে থাকবে।
ইসলামী আন্দোলনের ঢাকা উত্তরের সভাপতি ফজলে বারী মাসুদের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন- ইসলামী আন্দোলনের যুগ্ম-মহাসচিব কাজী আতাউর রহমান, ইসলামী আন্দোলনের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান প্রমুখ।
