মধ্যরাতে ঢাকায় আ’লীগের দুই পক্ষে সংঘর্ষ, গোলাগুলি

প্রকাশিত: ২:২২ পূর্বাহ্ণ, জানুয়ারি ৩, ২০১৯
মধ্যরাতে ঢাকার সেগুন বাগিচায় আ’লীগের দুই পক্ষে সংঘর্ষ ও গোলাগুলি হয়েছে। ছবি-সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিনিধি : সংসদ নির্বাচনের তিন দিন পর রাজধানীর সেগুন বাগিচায় আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়েছে।

বুধবার মধ্যরাতে স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগের মধ্যে সংঘর্ষের সময় ওই এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

দুই পক্ষে সংঘর্ষের সময় গুলির শব্দও পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। তবে গোলাগুলির খবর অস্বীকার করেছে পুলিশ।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে সেগুনবাগিচা কাঁচা বাজারের কাছে দুই পক্ষে সংঘর্ষ বাধে।

বাজারের কছে স্থাপিত একটি নির্বাচনী ক্যাম্পে সাইনবোর্ড লাগানোকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ বাধে বলে জানা গেছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, স্বেচ্ছাসেবক লীগের কয়েকজন রাতে একটি সাইনবোর্ড লাগাতে গেলে ছাত্রলীগের কয়েকজন বাধা দেয় এবং তাদের মারধর করে তাড়িয়ে দেয়।

পরে স্বেচ্ছাসেবক লীগের কয়েকজন এসে ছাত্রলীগের কর্মীদের ওপর হামলা চালায় এবং কয়েকটি মোটরসাইকেল ভাংচুর করে।

এসময় দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া চলে। গুলির শব্দও শোনা যায়। এসময় আশেপাশের অনেকে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।

অন্যদিকে ধাওয়ার মুখে স্বেচ্ছাসেবক লীগের কর্মীরা পালিয়ে যায়।

জানা গেছে, ঘটনাস্থলের কাছে ঢাকা মহানগর ছাত্রলীগের (দক্ষিণ) সাধারণ সম্পাদক জুবায়ের আহমেদের বাসা। তার সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

ছাত্রলীগের একজন বলেছেন, স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের ছেলেরা ক্যাম্পটি ভাংতে এসেছিল।

তবে ছাত্রলীগ নেতা জুবায়ের বলেন, ঘটনার সময় তিনি ছিলেন না।

তিনি জানান, আমি এসে শুনি, আমার সঙ্গে দেখা করতে আসা অপেক্ষমান কয়েকজনের ওপর কে বা কারা হামলা চালিয়েছে এবং কয়েকটি মোটরসাইকেল ভাংচুর করেছে।

এ ব্যাপারে শাহবাগ থানার ওসি আবুল হাসান গণমাধ্যমকে বলেন, ছাত্রলীগ এবং স্বেচ্ছাসেবক লীগের মধ্যে কিছুটা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল।

গোলাগুলির বিষয়ে তিনি বলেন, গুলির কোনো ঘটনা ঘটেনি। তবে বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।