ভবনে ফাটল, খোলা আকাশের নিচে পাঠদান

মিরাজুল ইসলাম মিরাজুল ইসলাম

জেলা প্রতিনিধি, বগুড়া

প্রকাশিত: ২:৪৫ অপরাহ্ণ, জুলাই ২৪, ২০১৯

বগুড়ার শিবগঞ্জের মোকামতলা উচ্চ বিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনের সংকটে খোলা আকাশের নিচে ক্লাস করছে শিক্ষার্থীরা। তাছাড়াও পুরাতন ভবন গুলোতে ফাটল ধরায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ক্লাস করছে শত শত শিক্ষার্থী।মুহূর্তে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে এমন আশঙ্কাকায় ইতোমধ্যই পরিত্যাক্ত ঘোষণা করা হয়েছে কয়েকটি ক্লাস রুম। শিবগঞ্জের প্রত্যন্ত অঞ্চলে গড়ে ওঠা অসংখ্য প্রতিষ্ঠান নতুন ভবন পেলেও ১৯৯৮ সালে প্রতিষ্ঠিত শিবগঞ্জের প্রাণ কেন্দ্র খ্যাত মোকামতলা বন্দরে অবস্থিত এই বিদ্যালয়টি আজ অবধি পায়নি কোন একাডেমিক ভবন। তাই পুরাতন ভবন গুলো নিয়ে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মাঝে হতাশার শেষ নেই।

সরেজমিনে দেখা যায়, বহু বছর আগে নির্মিত তিনটি ভবনের সব গুলো রুমেই ধরেছে ফাঁটল। ছাদ থেকে সিমেন্ট-বালু ঝড়ে পড়ছে শিক্ষার্থীদের বেঞ্চে। একটু ঝড় বা বৃষ্টি হলেই ছাদ থেকে পানি পড়ে শ্রেণীকক্ষে। অতি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় বন্ধ থাকতে দেখা গেছে ৪টি ক্লাস রুম। এছাড়া যে কয়টি রুম আছে তার সবকটিতেই ফাটল ধরায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ক্লাস করছে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা।

এ সময় নবম শ্রেণীর এক ছাত্র জানায়, আমরা খুব কষ্টে ক্লাস করছি এখানে। উপর (ছাদ) থেকে সিমেন্ট আর বালু পরে প্রতিনয়ত আমাদের শরীরে পড়ছে।বৃষ্টি আসলে ছাদ থেকে পানি পড়ে বই-খাতা ভিঁজে যায়। আমরা তখন ক্লাস করতে পারি না।

প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষক জানান, মোকামতলা একটি গুরুত্বপূর্ণ বন্দর। এই বন্দরে গড়ে ওঠা মোকামতলা উচ্চ বিদ্যালয় একটি ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠান। প্রতি বছর এই প্রতিষ্ঠানের অসংখ্য শিক্ষার্থী গোল্ডেন জিপিএ ৫ সহ কৃতিত্বের সাথে উত্তীর্ণ হয়। তবে বর্তমানে অবকাঠামোগত উন্নয়ন না থাকায় অনেকটা জৌলুস হারাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। ক্লাস রুমের অবস্থা দেখে অভিভাবক, শিক্ষার্থী ও শিক্ষক সবাই আতঙ্কে থাকেন।

এবিষয়ে প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক আশরাফুল ইসলাম বলেন, ২০১১ সাল থেকে প্রতিষ্ঠানটি মাধ্যমিক ও ২০১৮ সাল থেকে জেএসসি পরীক্ষা কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। কিন্তু রুম সংকটের কারণে পার্শ্ববর্তী বালিকা বিদ্যালয়কে ভেন্যু সেন্টার হিসেবে ব্যবহার করতে হচ্ছে। শিবগঞ্জ তথা বগুড়া জেলার গুরুত্বপূর্ণ একটি বন্দরে অবস্থিত এই বিদ্যালয়টির জন্য একটি একাডেমিক ভবন নির্মাণ খুব জরুরি হয়ে পড়েছে।