বিদেশে বসে গুজব ছড়ালে ব্যবস্থা, রাষ্ট্রদূতদের চিঠি

প্রকাশিত: ১:২৮ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ২০, ২০১৮

নির্বাচনীকে সামনে রেখে অবস্থান ও নাম পরিবর্তন করে দেশে বিদেশে বসে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। দেশের ভেতর থেকে অপপ্রচারকারীদের  শনাক্ত করে আইনের আওতায় নিয়ে এলেও মূল হোতাদের অবস্থান বিদেশে। গুজব রটনাকারী বেশ কয়েকটি চক্র বিদেশে বসে দীর্ঘদিন ধরে ফেসবুক, টুইটার, জি-প্লাস, হোয়াটসঅ্যাপসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিশেষত রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে নানা গুজব ছড়িয়ে আসছে। তাই বিদেশে অবস্থানকারীদের নিয়ে বেকায়দায় আছে গোয়েন্দারা। তাই গুজব ও অপপ্রচারকারীদের মনিটরিং করার নির্দেশের পর কাজ শুরু করেছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।

এরই অংশ হিসেবে বিদেশে অবস্থানকারী কেউ মিথ্যা তথ্য দিয়ে রাষ্ট্রের স্পর্শকাতর বিষয়, রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও বিশিষ্টজন সম্পর্কে গুজব ছড়ালে তার ওয়ার্ক পারমিট বাতিলসহ যথোপযুক্ত ব্যবস্থা ও উদ্যোগ নিতে কূটনৈতিক চ্যানেলে রাষ্ট্রদূতদের চিঠি দিয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

এ ছাড়া ন্যাশনাল সেন্টার ব্যুরোর (এনসিবি) মাধ্যমে ইন্টারপোলকে জানিয়ে বিদেশ থেকে কয়েকজন গুজব রটনাকারীকে দেশে ফেরত আনার উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে। গুজব মোকাবেলায় জনসচেতনতার পাশাপাশি সাইবার প্যাট্রোল জোরদার করেছে র‌্যাব ও পুলিশের সাইবার সিকিউরিটি বিভাগ।

গুজব বন্ধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উদ্যোগের ফলে চাপে পড়েছে ওই চক্র। সিআইডি সূত্রে জানা গেছে, এখন থেকে বিদেশে বসে গুজব ছড়ালেই যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে ওয়ার্ক পারমিট বাতিল করা হবে। পুলিশ সদর দফতর, স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে এ ব্যাপারে সংশ্নিষ্ট দেশে চিঠি দেওয়া হয়েছে। এই প্রথম বিদেশে অবস্থানকারী গুজব রটনাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

সূত্রে জানা যায়, র‌্যাবের সকল ব্যাটালিয়নে সাইবার মনিটরিং সেল গঠন করা হয়েছে। এছাড়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচার ঠেকাতে এরই মধ্যে সিআইডি সাইবার সেন্টার প্রতিষ্ঠা করেছে। অস্ট্রেলিয়া, সৌদি আরব, ওমান, কাতার থেকে বাংলাদেশের বিশিষ্ট নাগরিক ও বিভিন্ন স্পর্শকাতর বিষয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে এমন কয়েকজনকে শনাক্ত করেছে তারা।