বগুড়ায় ৭ হাজার টাকার জন্য বন্ধুর লাঠির আঘাতে যুবকের মৃত্যু

প্রকাশিত: ৯:৪৪ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ৩, ২০১৯

বগুড়া (শেরপুর) প্রতিনিধি : বগুড়ার শেরপুরে পাওনা টাকা চাওয়া নিয়ে বিরোধে বন্ধুর লাঠির আঘাতে সোহাগ হোসেন (২৫) নামে এক যুবক মারা গেছেন।

এ ব্যাপারে নিহতের বাবা শাহ আলম শেরপুর থানায় ছেলের বন্ধু সাগরসহ ৪ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ৩ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।

শেরপুর থানার ওসি হুমায়ুব কবির জানান, শেরপুর উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের মদনপুর গ্রামের শাহ আলমের ছেলে সোহাগ হোসেন ব্যবসা করতেন। তিনি তার বন্ধু মির্জাপুর গ্রামের সাগরের কাছে ৭ হাজার টাকা ঋণ নেন। সোহাগ নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে টাকা না দেয়ায় দুই বন্ধুর মাঝে সম্পর্কের অবনতি হয়।

সাগর বুধবার রাত ৯টার দিকে ফোনে সোহাগকে বাড়ি থেকে ডেকে নেন। এরপর তাকে মোটরসাইকেলে মির্জাপুর-রানীরহাট সড়কের আড়ংশাইল তিনমাথায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে টাকা চাওয়া নিয়ে সাগর ও সোহাগের মাঝে বাগ্বিতণ্ডা হয়।

খবর পেয়ে সোহাগের ভাই আবদুল ওয়াহাব ও মামা শহিদুল ইসলাম সাবু ঘটনাস্থলে যান। তখন তারা সোহাগকে নিয়ে আসার চেষ্টা করলে সাগর ও অন্যরা এতে বাধা দেয়। বাগ্বিতণ্ডার একপর্যায়ে সাগর বাঁশের লাঠি দিয়ে সোহাগের মাথায় আঘাত করে।

অচেতন সোহাগকে উদ্ধার করে প্রথমে শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। চিকিৎসকদের পরামর্শে তাকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকা মেডিকেলে রেফার্ড করা হয়। ঢাকা নেয়ার পথে বৃহস্পতিবার ভোরে যমুনা সেতুর কাছে সোহাগ মারা যান।

এ ঘটনায় নিহত সোহাগের বাবা শাহ আলম শেরপুর থানায় সাগরসহ ৪ জনের নামে ও অজ্ঞাত ৩ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন।

ওসি আরও জানান, বৃহস্পতিবার বিকাল পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি।

তবে এলাকাবাসীদের কেউ কেউ দাবি করেছেন, সোহাগ আইপিএল খেলায় ৭ হাজার টাকা বাজি ধরে হেরে যান। টাকা না দেয়ায় বন্ধু সাগর তাকে (সোহাগ) বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে মাথায় লাঠির আঘাতে হত্যা করেছে। তবে পুলিশ কর্মকর্তারা এ দাবিকে মিথ্যা বলেছেন।