ফিলিস্তিনী প্রশ্নে নিরাপত্তা পরিষদকে সোচ্চার থাকার আহ্বান

প্রকাশিত: ৯:২৬ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২৪, ২০১৯

“আগ্রাসী শক্তি ইসরাইলের আইনকে অগ্রাহ্য করা ও অন্যায় করে পার পেয়ে যাওয়ার সংস্কৃতি অবসান ঘটাতে সঠিক ভূমিকা রাখা নিরাপত্তা পরিষদের দায়িত্ব। এছাড়া মানবাধিকার ও অপরাধ আইনসহ সংশ্লিষ্ট আন্তর্জাতিক আইনের আওতায় ইসরাইলের সকল অন্যায় ও লঙ্ঘনের জবাবদিহিতা এবং গাজা ভূখন্ডসহ অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূমিতে ফিলিস্তিনি নাগরিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে নিরাপত্তা পরিষদকে সামনে রেখে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে অবশ্যই যথাযথ ভূমিকা রাখতে হবে”।

জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে ২২ জানুয়ারি ‘প্যালেস্টাইন প্রশ্নসহ মধ্যপ্রাচ্য পরিস্থিতি’ বিষয়ে আয়োজিত এক মুক্ত আলোচনায় ওআইসির সভাপতি হিসাবে প্রদত্ত বক্তব্যে এ আহবান জানান জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন।

নিরাপত্তা পরিষদের জানুয়ারি মাসের সভাপতি ডোমিনিকান রিপাবলিক এই আলোচনার আয়োজন করে যাতে জাতিসংঘের ৪৭টি সদস্য দেশ অংশ নেয়। আলোচনার শুরুতে মধ্যপ্রাচ্য শান্তি প্রক্রিয়ার বিশেষ সমন্বয়কারী ও জাতিসংঘ মহাসচিবের ব্যক্তিগত প্রতিনিধি নিকোলে মিলাডিনভ বলেন, “আমাদের চোখের সামনে ঘটতে থাকা ইসরাইল-ফিলিস্তিন সংঘাতের বিপজ্জনক পরিস্থিতি সম্পর্কে ২০১৯ সালে এসে আমাদেরকে অবশ্যই কোনো বিভ্রান্তিতে থাকা উচিত নয়”।

স্থায়ী প্রতিনিধি বলেন, “মুসলমান ও খ্রিস্টানদের পবিত্র স্থানসমূহে বিশেষত আল আকসা মসজিদে ইসরাইলের হামলা মানবিক সঙ্কটকে বহুগুণে বাড়িয়ে দিয়েছে যা বিশেষ করে গাজাসহ সকল ফিলিস্তিনিদের প্রভাবিত করছে। পবিত্র ভূমি জেরুজালেমের আইন সম্মত মর্যাদা জোরপূর্বক বা অন্যায়ভাবে পরিবর্তনের উদ্দেশ্যে ইসরাইল ও অন্যান্যদের এ জাতীয় উষ্কানিমূলক কার্যক্রমকে বিছিন্নভাবে দেখা যাবে না”।

ফিলিস্তিনকে জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়টিকে ইতিবাচকভাবে দেখে এ জন্য সুপারিশ করতে নিরাপত্তা পরিষদকে ওআইসি’র পক্ষ হয়ে পুনরায় অনুরোধ জানান রাষ্ট্রদূত মাসুদ। এখনও জাতিসংঘের যে সকল সদস্য দেশ ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেয়নি, তাদেরকে দ্বি-রাষ্ট্র সমাধান কাঠামোর প্রতি সমর্থন এবং শান্তি, রাজনৈতিক ও আইনী পদক্ষেপসমূহকে এগিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দানের অনুরোধ জানান স্থায়ী প্রতিনিধি।