প্রার্থীশূন্য আসনে পুনঃতফসিলের বিরোধিতা আ.লীগের

প্রকাশিত: ৯:৩৬ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ২২, ২০১৮

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আদালতের রায়ে বিএনপির প্রার্থীশূন্য আসনে পুনঃতফসিলের দাবির বিরোধিতা করেছে আওয়ামী লীগ। নির্বাচন কমিশনে (ইসি) আবেদন দিয়ে এ দাবি করে ক্ষমতাসীন দলটি। এ ছাড়া হিন্দুদের ওপর হামলা ছাড়াও দেশের কয়েকটি জেলায় তাদের প্রার্থীদের ওপর হামলার তথ্য-উপাত্ত তুলে ধরে দলটি।

আজ শনিবার আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে দলটির একটি প্রতিনিধি দল প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদা বরাবর এ সংক্রান্ত লিখিত আবেদন জমা দেয়। আওয়ামী লীগের জাতীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সম্বনয়কারী ড. সেলিম মাহমুদ স্বাক্ষরিত আবেদনে বলা হয়, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে কোনো কোনো আসনে বিএনপি প্রার্থীদের প্রার্থিতা বাতিল হয়েছে। আমরা জানতে পেরেছি, বিএনপি ওই সব আসনে পুনঃতফসিলের আবেদন করেছে। জাতীয় সংসদ নির্বাচন সম্পর্কিত মূল আইন গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) বিধানের আওতায় ওই সব আসনে পুনঃতফসিলের কোনো সুযোগ নেই। সুপ্রিম কোর্টের আদেশেও ওই সব আসনে পুনঃতফসিলের কোনো নির্দেশনা নেই। নির্বাচন কমিশনের কাছে এ ধরনের পুনঃতফসিলের জন্য বিএনপির আবেদনের জোরালভাবে বিরোধিতা করেছি।

আবেদন জমা দেয়ার পর আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মো. আক্তরুজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা আমাদের আশ্বস্ত করেছে, পুনঃতফসিলের কোনো পদক্ষেপ নেয়ার আগে আইন কানুন খতিয়ে দেখবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা আজকে যে কারণে নির্বাচন কমিশনে এসেছি হঠাৎ করে লক্ষ্য করলাম, ওবায়দুল কাদেরের প্রচারণায় হামলা, প্রতিমন্ত্রী আফসারুল ইসলামের চট্টগ্রাম মিছিলে হামলা, শুক্রবার রাতে মুক্তগাছায় পুলিশের ওপর ককটেল নিক্ষেপ করা হয়। দুঃখজনক ঘটনা হলেও ঠাকুরগাঁওয়ের জগন্নাথপুরে হিন্দুদের ওপর হামলা করা হয়েছে। এ ছাড়াও ওখানে গান পাওডার ব্যবহারের তথ্যও আমরা পেয়েছি। এ ঘটনাগুলো আমরা ২০১৩, ১৪ ও ১৫ সালে লক্ষ্য করেছি। আমরা আশঙ্কা করছি, জনগন্নাথপুরের এ ঘটনা সারাদেশে ছড়িয়ে পড়তে পারে।’

লিখিত বক্তব্যে জানানো হয়, ঠাকুরগাঁও জেলার জগন্নাথপুর ইউনিয়নের সিংগিয়া শাহাপাড়া গ্রামের কৃষ্ণ ঘোষের বাড়িতে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। আগুন দ্রুতই চারপাশে ছড়িয়ে পড়ে এবং বাড়িঘর পুড়ে ছাই হয়ে যায়। জামায়াত-বিএনপির সন্ত্রাসীরা ২০১৪ সালের পুনরাবৃত্তি করছে। আগুনে ৮টি ঘর, ৭টি ছাগল, ৬০ মন ধান ও আসবাবপত্র পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এতে প্রায় ৫ লাখের বেশি টাকার ক্ষয়-ক্ষতি হয়।

ইসির কাছে লিখিত অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়, ঢাকা বিভাগের টাঙ্গাইল, শরীয়তপুর, মুন্সীগঞ্জ, ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় বিএনপি জামায়াত পেট্রোল বোমা মারছে। চট্টগ্রাম বিভাগের মহানগর, নোয়াখালী জেলা, লক্ষ্মীপুর জেলা, ফেনী ও কক্সবাজার, বরিশাল বিভাগের বরিশাল ও পটুয়াখালী, রাজশাহী বিভাগের পাবনা, রংপুর বিভাগের ঠাকুরগাঁও, খুলনা বিভাগের চুয়াডাঙ্গা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝিনাইদহ জেলায় বিএনপি জামায়াত আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের ওপর হামলা চালাচ্ছে বলে উল্লেখ করা হয়। কোথায় কখন কার ওপর হামলা করা হয় চিঠিতে বিস্তারিত বর্ণনা দেয়া হয়।