প্রধানমন্ত্রীর পা ছুঁয়ে সালাম করলেন ডাকসু ভিপি নুর

প্রকাশিত: ২:২৩ পূর্বাহ্ণ, মার্চ ১৭, ২০১৯

গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পা ছুঁয়ে সালাম করলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) নবনির্বাচিত সহসভাপতি (ভিপি) নুরুল হক নুর।

শনিবার (১৬ মার্চ) বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে যান ডাকসু ও হল সংসদের নির্বাচিত নেতারা।

এদিন দুপুর ২টা থেকেই প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আসতে শুরু করেন ডাকসু ও হল সংসদের নির্বাচিতরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের ১১টি বাসে তারা গণভবনে পৌঁছান।

সবার শেষে বেলা ৩টার দিকে একটি প্রাইভেটকারে গণভবনে পৌঁছান ডাকসু ভিপি নুরুল হক নুর। ওই গাড়িতে ডাকসুর সমাজসেবা সম্পাদক আকতার হোসেনও ছিলেন।

গণভবনের গেটে পৌঁছেই ডাকসুর নবনির্বাচিত জিএস গোলাম রাব্বানীর সঙ্গে কোলাকুলি করেন নুর। এরপর একে একে সবই ভেতরে প্রবেশ করতে শুরু করেন।

নবনির্বাচিত ভিপি নুর প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে বলেন, ‘ছোটবেলায় আমি মাকে হারিয়েছি। আপনার মাঝে আমি আমার মায়ের প্রতিচ্ছবি খুঁজে পাই।

নুরের এ বক্তব্যের পর প্রধানমন্ত্রী তাকে পাশে বসান। এ সময় নুর প্রধানমন্ত্রীর পা ছুঁয়ে সালাম করেন।

গণভবনে নুর তার বক্তব্যে আরও বলেন, আমরা প্রধানমন্ত্রীর সহযোগিতা নিয়ে কাজ করতে চাই । এসময় তিনি সবার প্রথমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আবাসন সমস্যা সমাধান দাবি জানান।

ডাকসু সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী ও ১৮টি হল ছাত্র সংসদের সহসভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরাও গণভবনে বক্তব্য রেখেছেন।

নুরুল হক নুর বক্তব্য দেয়ার পর বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এসব বক্তব্যের আগে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে নবনির্বাচিত ডাকসু ও হল সংসদ নেতাদের আপ্যায়নের ব্যবস্থা করা হয়।

এ বিষয়ে একাধিক নেতা জানান, বিকালে আলোচনা পর্বের আগে বার্গার, কেক আর পানীয় দেয়া হয় নাশতা হিসেবে। তারপর ২৮টি হল সংসদের সহ-সভাপতি (ভিপি) এক মিনিট করে বক্তব্য দেন। এরপর ডাকসু ভিপি বক্তব্য দেন। ডাকসু নেতাদের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বক্তব্য রাখেন।

পরে নৈশভোজে অংশ নেন আমন্ত্রিত নবনির্বাচিত ডাকসু ও হল সংসদ নেতারা। এ সময় প্রথমে মোরগ পোলাও পরিবেশন করা হয়। খাবারের তালিকায় আরও ছিল খাসির রেজালা, কাবাব ও মিষ্টি। খাওয়া শেষে কোমল পানীয়র ব্যবস্থা ছিল।

প্রসঙ্গত, ১১ মার্চ অনুষ্ঠিত ডাকসু নির্বাচনে ভিপি এবং সমাজসেবা সম্পাদক ছাড়া বাকি ২৩টি পদে জয়ী হয়েছে ছাত্রলীগ। ২৮ বছর পর অনুষ্ঠিত এই নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ তুলে তা বর্জন করেছে ছাত্রলীগ ছাড়া সবকটি প্যানেল। তারা পুনর্নির্বাচন দাবি করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে আলটিমেটাম দিয়েছে।