বগুড়ার মহাস্থানে পুলিশের ধাওয়া খেয়ে নদীতে ঝাপ দেয়ার একদিন পরে মোস্তাফিজার রহমান মাসুম (৩৫) এর ভাসমান লাশ উদ্ধার করা হয়।

এলাকাবাসী জানায়, রবিবার (২আগস্ট) বিকাল ৬টায় মহাস্থান প্রতাবাজু গ্রামে সাদা পোশাকে পুলিশ মাদক বিরোধী অভিযান চালানোর সময় মহাস্থান বারিদার পাড়া গ্রামের বজলুর রহমানের পুত্র মোস্তাফিজার রহমান মাসুম মিয়া পুলিশকে দেখে ভয়ে দৌঁড় দেয়।

এসময় পুলিশও তাকে তাড়া করে। এক পর্যায়ে মাসুম করতোয়া নদীতে ঝাঁপ দিয়ে মুহুর্তেই নিঁখোজ হয়। এরপর পুলিশ তাকে না পেয়ে ফিরে চলে যায়। পরে এলাকাবাসী তাকে অনেক খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে শিবগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেন। খবর পেয়ে শিবগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রায় ১ঘন্টার উদ্ধারের তৎপরতা চালিয়ে তারাও তাকে না পেয়ে এঘটনাস্থল থেকে চলে যায়।

কোন পুলিশ তাকে ধরতে গিয়ে ছিল এলাকাবাসী তা নিশ্চিত করতে পারেনি। এবিষয়ে ফায়ার সার্ভিসের অফিসার ইনচার্জ আব্দুল হামিদুলের সাথে কথা বললে সে জানায়, খবর পেয়ে একটি টিম এঘটনাস্থলে অনেক খোঁজাখুঁজি করেছে কিন্তু তাকে পাওয়া যায়নি।

তারা আরও জানান, সে যদি সত্যি নদীতে পড়ে নিখোঁজ হয় তাহলে নদীতে অনেক স্রোতের কারনে যেখানে ঝাঁপ দিয়েছে সেখানে পাওয়া দুস্কর। যেহেতু সন্ধ্যার ব্যাপার সে নদী সাঁতরিয়ে কোথাও আত্মগোপনও করতে পারে।

এ বিষয়ে শিবগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ এসএম বদিউজ্জামান জানান, নদীতে লাফ দেয়া ব্যক্তিকে পুলিশ ধরতে যায়নি। নয়ন নামের এক আসামীকে গ্রেফতারের উদ্দেশ্যে গিয়েছিল এবং তাকেই গ্রেফতার করেছে। নিহত ব্যক্তি পুলিশ সদস্যদের দেখে ভয়ে পালানোর চেষ্টা করে এবং নদীতে লাফ দেয়ার কথা শুনেছি।