পটুয়াখালীতে আ.লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে প্রাণ গেল ২ ভাইয়ের

প্রকাশিত: ১২:৫৪ পূর্বাহ্ণ, আগস্ট ৩, ২০২০

পটুয়াখালীর বাউফলে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ইউনিয়ন আওয়মী লীগের সভাপতির দুই ভাই নিহত হয়েছে।

রোববার (২ আগস্ট) রাত ৮টায় উপজেলার কেসবপুর বাজারে এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন, কেসবপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সহসভাপতি মো. রুমন (৩০) ও ইউনিয়ন যুবলীগের কর্মী ইসাত (২৪)।

স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন ধরে কেশবপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সালেহ উদ্দিন পিকু এবং সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন লাভলুর মধ্যে অভ্যন্তরীণ কোন্দল চলছিল। দুই গ্রুপই স্থানীয় এমপি আ স ম ফিরোজ সমর্থিত বলেও জানা গেছে।

রোববার সন্ধ্যা ৭টায় কেসবপুর বাজারে একটি চায়ের দোকানে রুমন ও তার চাচাতো ভাই ইসাত চা খাচ্ছিল। এ সময় ৪০-৫০ জনের এক দল দুর্বৃত্ত দেশিয় ধারালো অস্ত্র নিয়ে তাদের উপর হামলা করে। এতে তারা গুরুতর আহত হলে স্থানীয়রা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে যায়। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।

এ বিষয়ে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন লাভলু বলেন, কোনো দলীয় কোন্দোল নেই। কোন্দল স্থানীয় ব্যাপারী বাড়ি আর তালুকদার বাড়ির মধ্যে। এখানে সবাই দলীয় লোক এটা অস্বীকার করতে পারবো না। যারা মারা গেছে তারাও আমার আর যারা মারছে তারও আমার লোক। অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার জন্য আমি দুঃখ প্রকাশ করছি। পাশাপাশি ঘটনায় জড়িতদের বিচার দাবি করছি।

পটুয়াখালীর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার বাউফল সার্কেল মো. ফারুক হোসেন জানান, ডিসেম্বরে কেশবপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে গত শুক্রবার ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক (ইউপি চেয়ারম্যান) গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এরই জের ধরে রোববার সন্ধ্যায় সাধারণ সম্পাদক ও চেয়ারম্যানের সমর্থকরা সভাপতির আপন ভাই যুবলীগ নেতা ইসাত ও চাচাত ভাই রুম্মানকে কুপিয়ে হাত পায়ের রগ কেটে গুরুত্বর জখম করে। পরে স্থানীয়রা তাদের বাউফল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক দুজনকেই মৃত ঘোষণা করে। এ ঘটনায় চার জনকে আটক করা হয়েছে।