দেশে করোনার টিকা জানুয়ারির শেষে অথবা ফেব্রুয়ারিতে

প্রকাশিত: ১:৫৮ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ২৮, ২০২০

জানুয়ারির শেষে অথবা ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময়ের মধ্যেই দেশে করোনার টিকা চলে আসবে। আগামী ছয় মাসে পর্যায়ক্রমে দেশে তিন কোটি টিকা আসবে। এই টিকা প্রাপ্য মানুষের মধ্যে সুষ্ঠুভাবে দেওয়ার জন্য সরকার প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক গতকাল রবিবার রাজধানীর মহাখালীতে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরে দুটি ভ্যাকসিন ল্যাব পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, সেরামের পাশাপাশি আগামী মে-জুন মাসের দিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কর্তৃক দেশের মোট জনসংখ্যার ২০ শতাংশের জন্য কোভ্যাক্স ভ্যাকসিন পাঠানো হবে। অক্সফোর্ড টিকার পাশাপাশি কোভ্যাক্স থেকে টিকা চলে এলে দেশের প্রায় বেশির ভাগ মানুষেরই টিকা প্রাপ্তি ঘটবে। তিনি আরো বলেন, দেশে বর্তমানে ১৮ বছরের নিচে রয়েছে প্রায় ৩৭ শতাংশ মানুষ, ৩০ লাখের মতো মহিলা গর্ভবতী এবং প্রায় কোটি মানুষ বিদেশে থাকায় অক্সফোর্ড ও কোভ্যাক্সের টিকা দিয়েই দেশের প্রায় সব মানুষকেই টিকা দেওয়া হয়ে যাবে। তবে এসব কিছুর পরও মানুষকে অবশ্যই মাস্ক পরা অব্যাহত রাখতে হবে।

ব্রিফিংকালে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গ কর্তৃক সম্প্রতি প্রকাশিত জরিপে বাংলাদেশের সাফল্যের বিষয়টি উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ‘কভিড মোকাবেলায় বাংলাদেশ যে সফল হয়েছে সে কথা এখন শুধু আমরা নই, খোদ আমেরিকার সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গ গত চার-পাঁচ মাসের কভিড জরিপ শেষে বিশ্বের মধ্যে বাংলাদেশকে কভিড মোকাবেলায় ২০তম এবং দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে এক নম্বর দেশ হিসেবে কৃতিত্ব দিয়েছে। এটি আমাদের জন্য বিরাট স্বীকৃতি। ওই জরিপে খোদ আমেরিকাই রয়েছে ৪০তম অবস্থানে, ইউকে রয়েছে ৩৯তম অবস্থানে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ভারত, পাকিস্তান, ভুটান, শ্রীলঙ্কা, মিয়ানমার এই দেশগুলোরও ওপরে রয়েছে বাংলাদেশ।’

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এই কৃতিত্ব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার, এই কৃতিত্ব দেশের চিকিৎসাসেবায় নিয়োজিত ব্যক্তিদের, এই কৃতিত্ব মিডিয়াসহ সব করোনাযোদ্ধাদের।’

এ সময় মন্ত্রীর সঙ্গে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. মাহাবুবুর রহমানসহ অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।