দেশকে এগিয়ে নিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা

প্রকাশিত: ২:২৩ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ১৯, ২০১৮

বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, ব্যবসায়ীরা দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিচ্ছেন। ১৯৭২ সালে ২৫ পণ্যে রপ্তানি আয় ছিল মাত্র ৩৪৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। আর ২০১৭-১৮ অর্থবছরে রপ্তানি আয় হয়েছে ৪১ বিলিয়ন ডলার। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে আমাদের রপ্তানি টার্গেট ৪৪ বিলিয়ন। এ জন্য সরকার নতুন নতুন পণ্যও প্রণোদনা দিচ্ছে। যাতে করে রকমারি পণ্যের রপ্তানি বাড়ে। সরকার নতুন নতুন বাজার সৃষ্টির জন্যও ক্যাশ প্রণোদনা দিচ্ছে।
গতকাল রাজধানীর কারওয়ান বাজারে টিসিবি (ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ) অডিটোরিয়ামে রপ্তানি বাণিজ্য ও অর্থনীতিতে অবদানের জন্য সিআইপি কার্ড প্রদান অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, দেশ বর্তমানে দুই ভাগে বিভক্ত। এর মধ্যে একটি স্বাধীনতার চেতনার মূল্যবোধে বিশ্বাসী শক্তি। আর তাদের নেতৃত্বে দেশ সব খাতে এগিয়ে যাচ্ছে। এখন আপনার বিবেক ও বিবেচনা দিয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিন।
অনুষ্ঠানে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিআইপি (রপ্তানি) নীতিমালা-২০১৩ অনুযায়ী, ২০১৬ সালের জন্য ১৭৮ ব্যবসায়ীকে সিআইপি কার্ড দেয়া হয়। এর মধ্যে ১৮টি পণ্য খাতে ১৩৭ রপ্তানিকারক এবং পদাধিকারবলে ৪১ ব্যবসায়ী নেতাকে সিআইপি কার্ড দেয়া হয়।
সরকারি এক গেজেটের তথ্য অনুযায়ী, সিআইপি হিসেবে নির্বাচিত ব্যক্তিরা সচিবালয়ে প্রবেশে পাস, গাড়ির স্টিকার, জাতীয় অনুষ্ঠান ও সিটি করপোরেশনের নাগরিক সংবর্ধনায় আমন্ত্রণ পাবেন। বিমান, সড়ক, রেলপথ ও জলপথে সরকারি যানবাহনে তাদের জন্য আসন সংরক্ষণে অগ্রাধিকার থাকবে। এ ছাড়া বিভিন্ন জাতীয় অনুষ্ঠান ও মিউনিসিপ্যাল করপোরেশন আয়োজিত নাগরিক সংবর্ধনায় আমন্ত্রণ পাবেন তারা।
একই সঙ্গে সিআইপিদের জন্য ব্যবসাসংক্রান্ত কাজে বিদেশ ভ্রমণের ক্ষেত্রে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ভিসাপ্রাপ্তির জন্য সংশ্লিষ্ট দূতাবাসকে উদ্দেশ্য করে ‘লেটার অব ইনট্রোডাকশন’ ইস্যু করবে। সিআইপিরা বিমানবন্দরে ভিআইপি লাউঞ্জ-২ ব্যবহারের সুবিধা পাবেন। স্ত্রী, ছেলেমেয়েসহ নিজের চিকিৎসায় সরকারি হাসপাতালে কেবিন সুবিধায় অগ্রাধিকার পাবেন। সিআইপি (রপ্তানি) কার্ডের আওতায় এক বছর ও পরবর্তী সিআইপি ঘোষণা না হওয়া পর্যন্ত তারা এ সুবিধা পাবেন।
বাণিজ্য সচিব মো. মফিজুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশনের (এফবিসিসিআই) সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) ভাইস চেয়ারম্যান বিজয় ভট্টাচার্য প্রমুখ।